ঢাকা ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দিল্লিতেই আছেন শেখ হাসিনা

দুই মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে নাটকীয় পরিস্থিতিতে দিল্লিতে যাওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।

মঙ্গলাবার (০৮ অক্টোবর) দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন শেখ হাসিনা। কয়েকটি খবরে এমনও দাবি করা হয় যে, আমিরাতের আজমানে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের মালিকানাধীন বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন তিনি।

দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন – এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’

তিনি দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও জানায়নি – কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েকদিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে।

দিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বিবিসির কাছে বলেছেন, যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহুর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোচুরি করার কোনো কারণ নেই। ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব খবরকে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।

জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। টানা দুই মাস সেখানে অবস্থান শেষে সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়ায় ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তার মা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।

এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন, তা পরিষ্কার করেনি ভারত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

দিল্লিতেই আছেন শেখ হাসিনা

আপডেট সময় ০৭:৩২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

দুই মাস আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে নাটকীয় পরিস্থিতিতে দিল্লিতে যাওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তিনি দিল্লি ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে গেছেন, এ জাতীয় খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা।

মঙ্গলাবার (০৮ অক্টোবর) দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন শেখ হাসিনা। কয়েকটি খবরে এমনও দাবি করা হয় যে, আমিরাতের আজমানে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের মালিকানাধীন বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন তিনি।

দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন – এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’

তিনি দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও জানায়নি – কিন্তু সেই ‘লোকেশন’ যে গত কয়েকদিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও জানানো হয়েছে।

দিল্লির সাউথ ব্লকে একটি উচ্চপদস্থ সূত্র বিবিসির কাছে বলেছেন, যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহুর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোচুরি করার কোনো কারণ নেই। ফলে শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব খবরকে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েকদিনে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।

জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। টানা দুই মাস সেখানে অবস্থান শেষে সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়ায় ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তার মা এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন।

এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন, তা পরিষ্কার করেনি ভারত।