ঢাকা ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা মিঠাপুকুরে জোরপূর্বক কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন: জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা শ্রীমঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক- ৬ যশোরে টেন্ডার নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় যুবদল নেতা বহিষ্কার ওজন নিয়ে সমালোচনার জবাবে সোজাসাপটা জবাব দিলেন সামান্থা সংসার করতে চান বাঁধন, একান্ত সঙ্গীর খোঁজে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন বাইডেন ঝিনাইদহের সাবেক এমপি তাহজীব সিদ্দিকী গ্রেপ্তার বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দ্রুত গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন দিন: রিজভী

মৌলভীবাজারে সমাবেশে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী।

মৌলভীবাজারের জুড়ি সীমান্তে সম্প্রতি বিএসএফের হাতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের সথে দেখা করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ বরিবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের সীমান্ত উপজেলা জুড়ির খাগটেকা বাজার সংলগ্ন মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

এ সময় তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মৌলভীবাজার ও জুড়ির নেতৃবৃন্দ। পরে সেখানে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার বিষয়ে স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন শুধু শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া বারি সবাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ঘোষনার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ফেলানীর কথা এখনো মানুষ ভুলেনি। কিন্তু সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি, বিবৃতি দেয়নি। হাসিনার মাথা ভারতের দিকে সিজদা করে নতজানু করে রাখতো, সার্বভৌমত্বের পক্ষে মাথা তুলতো না। এ সীমান্তে স্বর্ণা দাসদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হিন্দু কেহ আহত বা নিহত হলে সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও প্রতিবেশী দেশ হিন্দুর উপর আক্রমণ বলে প্রচার করে। কিন্তু ভারত সীমান্তে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বিবেচনা করে না। তারা সীমান্তে যে কাউকে হত্যা করে। তাদের টার্গেট বাংলাদেশী মানুষ। ওরা ফেলানীকে যেভাবে ঝুলিয়েছে, সেভাবে স্বর্ণাকেও মেরেছে। আরো একজন হিন্দুকে মেরেছে। সীমান্তকে শান্তিপূর্ন সীমান্ত তৈরির আহবান জানালেও ভারত শুনেনি। হাসিনার পতনের পর ভারত আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সীমান্ত রক্তাক্ত করছে, সহিংস হচ্ছে।’

৫ আগস্টের বিপ্লবের পর ড. ইউনুছের সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন তো হাসিনা নেই, জনগণের সরকার ক্ষমতায়। তাদের উপরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আপনারা নির্লিপ্ত কেন? উদাসিন কেন? কিশোরীকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথা নেই কেন? এ প্রশ্ন দেশের মানুষের মুখে মুখে।’

দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘লুটপাটের সরকারের দোসরদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্টিত করছেন। ওরা আপনাদের সফল হতে দিবে না। ওরা নানা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। সরকার ব্যর্থ হলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বার বার দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পারেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি।’

সভা শেষে তিনি বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবির, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন তালুকদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতা শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু। সভায় সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা ওয়াসায় কর্মচারীরা বিক্ষোভ: ডিএমডি (অর্থ ও প্রশাসন) আকতারুজ্জামানকে বের করে দিয়েছে কর্মচারীরা

দ্রুত গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন দিন: রিজভী

আপডেট সময় ১০:২০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজারের জুড়ি সীমান্তে সম্প্রতি বিএসএফের হাতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের সথে দেখা করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ বরিবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের সীমান্ত উপজেলা জুড়ির খাগটেকা বাজার সংলগ্ন মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

এ সময় তাঁকে শুভেচ্ছা জানান মৌলভীবাজার ও জুড়ির নেতৃবৃন্দ। পরে সেখানে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার বিষয়ে স্বাধীনতার পর থেকে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন শুধু শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া বারি সবাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত ঘোষনার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছে।’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ফেলানীর কথা এখনো মানুষ ভুলেনি। কিন্তু সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি, বিবৃতি দেয়নি। হাসিনার মাথা ভারতের দিকে সিজদা করে নতজানু করে রাখতো, সার্বভৌমত্বের পক্ষে মাথা তুলতো না। এ সীমান্তে স্বর্ণা দাসদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হিন্দু কেহ আহত বা নিহত হলে সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও প্রতিবেশী দেশ হিন্দুর উপর আক্রমণ বলে প্রচার করে। কিন্তু ভারত সীমান্তে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বিবেচনা করে না। তারা সীমান্তে যে কাউকে হত্যা করে। তাদের টার্গেট বাংলাদেশী মানুষ। ওরা ফেলানীকে যেভাবে ঝুলিয়েছে, সেভাবে স্বর্ণাকেও মেরেছে। আরো একজন হিন্দুকে মেরেছে। সীমান্তকে শান্তিপূর্ন সীমান্ত তৈরির আহবান জানালেও ভারত শুনেনি। হাসিনার পতনের পর ভারত আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। সীমান্ত রক্তাক্ত করছে, সহিংস হচ্ছে।’

৫ আগস্টের বিপ্লবের পর ড. ইউনুছের সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন তো হাসিনা নেই, জনগণের সরকার ক্ষমতায়। তাদের উপরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আপনারা নির্লিপ্ত কেন? উদাসিন কেন? কিশোরীকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথা নেই কেন? এ প্রশ্ন দেশের মানুষের মুখে মুখে।’

দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেয়ার দাবী জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘লুটপাটের সরকারের দোসরদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্টিত করছেন। ওরা আপনাদের সফল হতে দিবে না। ওরা নানা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। সরকার ব্যর্থ হলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বার বার দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পারেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে, কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি।’

সভা শেষে তিনি বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবির, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মিথুন তালুকদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতা শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু। সভায় সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।