ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সংবাদ শিরোনামঃ
সাবেক মেয়র তাপসকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে ডিবি হারুন ও তার পরিবারকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে দুই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যবিপ্রবিরএডি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লন্ডনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফুজ্জামান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের ভাই ফারুকের বিরুদ্ধে হুন্ডি ও অর্থপাচারের অভিযোগ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গামাটিতে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা মামুনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে নিহত খাইরুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলাম ভুইয়া এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত খাইরুলের পিতা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ছেলে বরকল উপজেলার ভুষণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ মিলে বেধম মারধর করে। সন্ত্রাসীদের মারধরের ঘটনার ২/১ দিন পর খাইরুল ইসলাম মারা যায়।

বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোথাও এই হত্যার বিচার পাইনি। এখন মুখ খোলার সময় হয়েছে, তাই আজ পুত্রের হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি। পুত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা করবো।

নিহত খাইরুল ইসলামের চাচা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাতিজা কেন বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিল এটাই তার অপরাধ। ওই সময় তাকে মামুন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে দফায় দফায় হামলা ও বেধম মারধরে খাইরুল মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় বিচার দেওয়ার কোন জায়গা ছিল না। সেখানে যাই সেখানেই আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। আমরা এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে । গত ১৫ বছর বরকল ভুষণছড়া সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করেছেন যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মামুনগংরা।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলমগীর মেম্বার বলেন, ‘খাইরুল ইসলামকে মামুন চেয়ারম্যানের লোকজন বেধম মারধর করে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের দায়ে খাইরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান মামুনগং আওয়ামী লীগের লোকজন দফায় দফায় মারধর করে। পরে সে মারা যায়।’

আরেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, ‘বিগত দিনে এই নিরীহ পরিবারটি তাদের ছেলের হত্যার বিচার কোথায়ও পায়নি। এখন সে তার ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ভয়ে কোথায়ও বিচার চাইতে পারেনি। ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ও তার সহযোগিরা এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করেছে। মামুন এতই ভয়াবহ ছিল তার ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলছে না। গত ৫ আগষ্টের পর হতে সে পলাতক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট হতে মামুন গা ঢাকা দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে মামুনকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং সে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা মামুনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে নিহত খাইরুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলাম ভুইয়া এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত খাইরুলের পিতা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ছেলে বরকল উপজেলার ভুষণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ মিলে বেধম মারধর করে। সন্ত্রাসীদের মারধরের ঘটনার ২/১ দিন পর খাইরুল ইসলাম মারা যায়।

বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোথাও এই হত্যার বিচার পাইনি। এখন মুখ খোলার সময় হয়েছে, তাই আজ পুত্রের হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি। পুত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা করবো।

নিহত খাইরুল ইসলামের চাচা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাতিজা কেন বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিল এটাই তার অপরাধ। ওই সময় তাকে মামুন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে দফায় দফায় হামলা ও বেধম মারধরে খাইরুল মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় বিচার দেওয়ার কোন জায়গা ছিল না। সেখানে যাই সেখানেই আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। আমরা এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে । গত ১৫ বছর বরকল ভুষণছড়া সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করেছেন যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মামুনগংরা।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলমগীর মেম্বার বলেন, ‘খাইরুল ইসলামকে মামুন চেয়ারম্যানের লোকজন বেধম মারধর করে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের দায়ে খাইরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান মামুনগং আওয়ামী লীগের লোকজন দফায় দফায় মারধর করে। পরে সে মারা যায়।’

আরেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, ‘বিগত দিনে এই নিরীহ পরিবারটি তাদের ছেলের হত্যার বিচার কোথায়ও পায়নি। এখন সে তার ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ভয়ে কোথায়ও বিচার চাইতে পারেনি। ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ও তার সহযোগিরা এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করেছে। মামুন এতই ভয়াবহ ছিল তার ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলছে না। গত ৫ আগষ্টের পর হতে সে পলাতক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট হতে মামুন গা ঢাকা দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে মামুনকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং সে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।