ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’- এ অংশগ্রহণ করলেন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে ইসরায়েলি নেতাদের ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তাবে সমর্থন মিয়ানমারের জান্তা সরকার নারীকে বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করছে ভারতের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে আলোচনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘ধানমন্ডি ৩২’ মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৪ পুলিশ সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব শেখ মুজিবকে নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক্সে পোস্টের সত্যতা! অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক ক্ষেতলালে ইউএনওর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গামাটিতে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা মামুনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে নিহত খাইরুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলাম ভুইয়া এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত খাইরুলের পিতা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ছেলে বরকল উপজেলার ভুষণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ মিলে বেধম মারধর করে। সন্ত্রাসীদের মারধরের ঘটনার ২/১ দিন পর খাইরুল ইসলাম মারা যায়।

বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোথাও এই হত্যার বিচার পাইনি। এখন মুখ খোলার সময় হয়েছে, তাই আজ পুত্রের হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি। পুত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা করবো।

নিহত খাইরুল ইসলামের চাচা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাতিজা কেন বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিল এটাই তার অপরাধ। ওই সময় তাকে মামুন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে দফায় দফায় হামলা ও বেধম মারধরে খাইরুল মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় বিচার দেওয়ার কোন জায়গা ছিল না। সেখানে যাই সেখানেই আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। আমরা এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে । গত ১৫ বছর বরকল ভুষণছড়া সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করেছেন যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মামুনগংরা।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলমগীর মেম্বার বলেন, ‘খাইরুল ইসলামকে মামুন চেয়ারম্যানের লোকজন বেধম মারধর করে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের দায়ে খাইরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান মামুনগং আওয়ামী লীগের লোকজন দফায় দফায় মারধর করে। পরে সে মারা যায়।’

আরেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, ‘বিগত দিনে এই নিরীহ পরিবারটি তাদের ছেলের হত্যার বিচার কোথায়ও পায়নি। এখন সে তার ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ভয়ে কোথায়ও বিচার চাইতে পারেনি। ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ও তার সহযোগিরা এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করেছে। মামুন এতই ভয়াবহ ছিল তার ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলছে না। গত ৫ আগষ্টের পর হতে সে পলাতক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট হতে মামুন গা ঢাকা দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে মামুনকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং সে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাঙামাটির বরকলে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা মামুনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটিতে নিহত খাইরুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলাম ভুইয়া এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত খাইরুলের পিতা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ছেলে বরকল উপজেলার ভুষণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাকে ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ মিলে বেধম মারধর করে। সন্ত্রাসীদের মারধরের ঘটনার ২/১ দিন পর খাইরুল ইসলাম মারা যায়।

বিগত দিনে আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোথাও এই হত্যার বিচার পাইনি। এখন মুখ খোলার সময় হয়েছে, তাই আজ পুত্রের হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে এসেছি। পুত্রের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা করবো।

নিহত খাইরুল ইসলামের চাচা আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ভাতিজা কেন বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট ছিল এটাই তার অপরাধ। ওই সময় তাকে মামুন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে দফায় দফায় হামলা ও বেধম মারধরে খাইরুল মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময় বিচার দেওয়ার কোন জায়গা ছিল না। সেখানে যাই সেখানেই আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। আমরা এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের বিচার চাই। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে । গত ১৫ বছর বরকল ভুষণছড়া সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করেছেন যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মামুনগংরা।’

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আলমগীর মেম্বার বলেন, ‘খাইরুল ইসলামকে মামুন চেয়ারম্যানের লোকজন বেধম মারধর করে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের দায়ে খাইরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান মামুনগং আওয়ামী লীগের লোকজন দফায় দফায় মারধর করে। পরে সে মারা যায়।’

আরেক ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, ‘বিগত দিনে এই নিরীহ পরিবারটি তাদের ছেলের হত্যার বিচার কোথায়ও পায়নি। এখন সে তার ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ভয়ে কোথায়ও বিচার চাইতে পারেনি। ভুষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ও তার সহযোগিরা এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করেছে। মামুন এতই ভয়াবহ ছিল তার ভয়ে কেউ এলাকায় মুখ খুলছে না। গত ৫ আগষ্টের পর হতে সে পলাতক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট হতে মামুন গা ঢাকা দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে মামুনকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং সে পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।