মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তার এই পদক্ষেপের ফলে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা স্বল্প মেয়াদে অর্থনৈতিক যন্ত্রণা ভোগ করতে পারেন বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী শুল্কের এই পদক্ষেপের ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্দার দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির স্বার্থে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব মার্কিন জনগণের জন্য কিছুটা কষ্টকর হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের লাভে পরিণত হবে বলে তার বিশ্বাস।
এছাড়া, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মেক্সিকোও তাদের পণ্যকে লক্ষ্য করে পাল্টা শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং চীন জানায়, তারা এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মামলা করার পরিকল্পনা করছে।
বিশ্ব অর্থনীতি ও মার্কিন বাজারে শুল্কের এই পদক্ষেপের প্রভাব ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে শুল্ক আরোপের ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। তবে, মার্কিন প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এটি যুক্তরাষ্ট্রকে লাভবান করবে বলে মনে করে।