ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন যেমন ‘পাবলিক টয়লেটে’ পরিণত হয়েছে তেমনি সে নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্থলে।
গত ৫ই আগষ্টের আগে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে কিছুটা হলেও ভীতি কাজ করতো সাধারণ মানুষের মনে। কেননা দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দাপুটে নেতাদের আনাগোনা তখন স্বাভাবিক বিষয় ছিল।
বর্তমানে (৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার) পাথরঘাটা পৌর শহরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্থলে প্রবেশ করলে দেখা যায়, একের পর এক সাধারণ মানুষ প্রকৃতির ডাকে সারা দিচ্ছে এক সময়ের উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের এ আড্ডাখানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওখানে থাকা কয়েকজন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে জানা যায়, ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ৫ই আগষ্টের পর কার্যালয়ের মূল কাঠামো টিন, কাঠ ও কার্যালয়ে থাকা কিছু আসবাবপত্র যে যার মতো করে ভেঙে নিয়ে যায়। তারপর থেকে মানুষ এটাকে প্রস্রাব করার জায়গা বানিয়েছে।
কার্যালয়ের অস্তিত্ব বলতে শুধু পরে আছে ফ্লোর। তবে সেটা দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে একসময়ে স্বৈরাচারী সরকারে থাকা একটি দলের উপজেলা কার্যালয় ছিল।
ওখান থেকে যাওয়ার পথে, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, ফেরাউনের বাড়িতে বর্তমানে টয়লেট তৈরি করছে সেরকম এখানেও উদ্যোগ নিয়ে টয়লেট তৈরি করলে পাথরঘাটার মানুষ খুশি হবে।
পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ মোর্শেদ বলেন, মানুষ ওদেরকে ঘৃণা করে। আগে সাধারণ মানুষ এখানে আসতো না। তবে এখন প্রস্রাব করার জন্য হলেও একবার আসে।
পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ফাহিম বলেন, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলো জনগণের রোষানলে পরে ভাঙচুর হয়েছে এবং সেইসব জায়গায় পাবলিক এখন প্রস্রাব-পায়খানা করে। এটা জনগণের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, যার ফলে সরকার পতনের পর কয়েকঘন্টার মধ্যে কার্যালয় ভেঙে মানুষ টিন, লোহা, কাঠ নিয়ে যায়।