ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে বাবার হাতে ছেলে খুন, ঘাতক পিতা আটক মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সাথে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে দিনে দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে টাকা ছিনতাই জয়পুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি ডিমলায় র‍্যাবের হাতে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার টুঙ্গিপাড়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মাছের খাবার বিক্রি: ৫ হাজার টাকা জরিমানা পাবনায় জামায়াতের অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বদলগাছীতে ৮ হাজার ২শ ২০ বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খানের মতবিনিময়

মানুষের হাতে টাকা রাখতে বড় পদক্ষেপ ভারতের

ছবি: সংগৃহীত

ভারত সরকার সম্প্রতি আয়কর কাঠামোয় ব্যাপক সংশোধন এবং বড় ছাড় ঘোষণা করেছে। গত এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় আয়কর সংশোধন, যার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। নতুন ঘোষণার পর, ভারতের বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৮০ হাজার রুপি পর্যন্ত থাকলে, কর দিতে হবে না। আগে এই সীমা ছিল ৭ লাখ রুপি। অর্থাৎ, আয়কর সিস্টেমের এই পরিবর্তন ৫ লাখ রুপির বেশি আয়করের আওতায় এল।

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, এই নতুন কর কাঠামোর উপকারিতা সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, “এটি মানুষের হাতে বেশি টাকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা সঞ্চয় এবং খরচ উভয় ক্ষেত্রেই সহায়ক হবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই পদক্ষেপ মধ্যবিত্তের জন্য সহায়ক হবে এবং ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

এছাড়া, পূর্বে যাদের বছরে আয় ছিল ২৫ লাখ রুপি, তাদের কর দিতে হতো ৪ লাখ ৫৭ হাজার রুপি, কিন্তু নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার রুপিতে। এর মানে, প্রতি বছরে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার রুপি কম কর দিতে হবে, যা মাসে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার রুপি সঞ্চয় বাড়াবে।

তবে, এই কর ছাড়ের ফলে ভারতের সরকারের রাজস্ব আয় কমবে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন রুপি রাজস্ব আয় কমে যেতে পারে। তবে, সরকারের ধারণা, এই পদক্ষেপ মানুষের খরচ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, যার ফলে বাজারে চাঙাভাব সৃষ্টি হবে।

ভারতের অর্থসচিব তুহিন কান্তা পান্ডে মন্তব্য করেছেন, “এই পদক্ষেপ মূলত মানুষের খরচ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য। আমরা আশা করি, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৭৫ শতাংশ করদাতা নতুন কর কাঠামো অনুসরণ করবেন।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই কর ছাড় ভারতের মধ্যবিত্তের আর্থিক অবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি, অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুলবাড়ীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার গ্রেপ্তার

Verified by MonsterInsights

মানুষের হাতে টাকা রাখতে বড় পদক্ষেপ ভারতের

আপডেট সময় ১১:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারত সরকার সম্প্রতি আয়কর কাঠামোয় ব্যাপক সংশোধন এবং বড় ছাড় ঘোষণা করেছে। গত এক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় আয়কর সংশোধন, যার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। নতুন ঘোষণার পর, ভারতের বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৮০ হাজার রুপি পর্যন্ত থাকলে, কর দিতে হবে না। আগে এই সীমা ছিল ৭ লাখ রুপি। অর্থাৎ, আয়কর সিস্টেমের এই পরিবর্তন ৫ লাখ রুপির বেশি আয়করের আওতায় এল।

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, এই নতুন কর কাঠামোর উপকারিতা সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, “এটি মানুষের হাতে বেশি টাকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা সঞ্চয় এবং খরচ উভয় ক্ষেত্রেই সহায়ক হবে।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই পদক্ষেপ মধ্যবিত্তের জন্য সহায়ক হবে এবং ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

এছাড়া, পূর্বে যাদের বছরে আয় ছিল ২৫ লাখ রুপি, তাদের কর দিতে হতো ৪ লাখ ৫৭ হাজার রুপি, কিন্তু নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার রুপিতে। এর মানে, প্রতি বছরে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার রুপি কম কর দিতে হবে, যা মাসে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার রুপি সঞ্চয় বাড়াবে।

তবে, এই কর ছাড়ের ফলে ভারতের সরকারের রাজস্ব আয় কমবে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় এক ট্রিলিয়ন রুপি রাজস্ব আয় কমে যেতে পারে। তবে, সরকারের ধারণা, এই পদক্ষেপ মানুষের খরচ এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে, যার ফলে বাজারে চাঙাভাব সৃষ্টি হবে।

ভারতের অর্থসচিব তুহিন কান্তা পান্ডে মন্তব্য করেছেন, “এই পদক্ষেপ মূলত মানুষের খরচ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য। আমরা আশা করি, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৭৫ শতাংশ করদাতা নতুন কর কাঠামো অনুসরণ করবেন।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই কর ছাড় ভারতের মধ্যবিত্তের আর্থিক অবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি, অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।