ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
আমিরাত প্রবাসী কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় ইলন মাস্কের সন্তানদের উপহার দিলেন মোদি আজ পবিত্র শবে বরাত সুন্দরবন দিবস আজ বসন্তের রঙে রাঙানো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ পাকিস্তান পৌঁছেছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল নিষিদ্ধ হবে: মির্জা ফখরুল বাজিতপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি সাকের, সাধারণ সম্পাদক ফাত্তাহ মির্জাপুরে হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” এর পরিবর্তিত নাম “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” বোয়ালখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা কিশোরগঞ্জে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত

শেখ হাসিনার পতনের পরেও সহায়তা অব্যাহত ভারতের

ভারত আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে, তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ অপরিবর্তিত রেখেছে। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশকে ১২০ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছিল।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা খাতে মোট ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের ৫ হাজার ৮০৬ কোটি রুপি থেকে কম। তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ভারত অন্যান্য দেশগুলোর জন্য সহায়তা কমানোর পাশাপাশি কিছু দেশের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নেপাল ও মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপালকে ২ হাজার ১৫০ কোটি রুপি এবং মালদ্বীপকে ৬০০ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে, আফগানিস্তানের জন্য ২০০ কোটি রুপি থেকে কমিয়ে ১০০ কোটি রুপি এবং মিয়ানমারের জন্য ৫০ কোটি রুপি কমিয়ে ৩৫০ কোটি রুপি করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার জন্য ৩০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য সহায়তা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আফ্রিকায় বরাদ্দ ২৫ কোটি রুপি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, ভারত যেসব দেশের জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে, তার পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। যেমন, নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি, মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন এবং আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিহাসে শেখ হাসিনার শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বেড়েছিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বিরোধী দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ জমে উঠেছে, বিশেষ করে ভারতীয় ‘গোপন সহযোগিতা’ নিয়ে।

এছাড়া, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, যদিও তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

Verified by MonsterInsights

শেখ হাসিনার পতনের পরেও সহায়তা অব্যাহত ভারতের

আপডেট সময় ০১:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভারত আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে, তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ অপরিবর্তিত রেখেছে। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশকে ১২০ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ বরাদ্দ করা হয়েছিল।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা খাতে মোট ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের ৫ হাজার ৮০৬ কোটি রুপি থেকে কম। তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ভারত অন্যান্য দেশগুলোর জন্য সহায়তা কমানোর পাশাপাশি কিছু দেশের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নেপাল ও মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপালকে ২ হাজার ১৫০ কোটি রুপি এবং মালদ্বীপকে ৬০০ কোটি রুপি সহায়তা দেওয়া হবে। আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জন্য বরাদ্দ কমানো হয়েছে, আফগানিস্তানের জন্য ২০০ কোটি রুপি থেকে কমিয়ে ১০০ কোটি রুপি এবং মিয়ানমারের জন্য ৫০ কোটি রুপি কমিয়ে ৩৫০ কোটি রুপি করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার জন্য ৩০০ কোটি রুপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য সহায়তা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আফ্রিকায় বরাদ্দ ২৫ কোটি রুপি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, ভারত যেসব দেশের জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে, তার পেছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে। যেমন, নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সহায়তা বৃদ্ধি, মালদ্বীপের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন এবং আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিহাসে শেখ হাসিনার শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বেড়েছিল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বিরোধী দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ জমে উঠেছে, বিশেষ করে ভারতীয় ‘গোপন সহযোগিতা’ নিয়ে।

এছাড়া, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, যদিও তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।