ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানালেন নাহিদ বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ কোটা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ সিদ্ধান্ত সাত কলেজের সম্ভাব্য নতুন নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ যাত্রাবাড়ীতে সড়ক অবরোধ পছন্দের ক্লিনিকে টেস্ট না করায় রিপোর্ট ছুড়ে ফেললেন ডাক্তার ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমরা একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছি: তারেক রহমান বাঁশের সাঁকো আর নৌকাই ভরসা দশটি গ্রামের মানুষের বিদেশ পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ শেখ হাসিনার সেই ৪০০ কোটি টাকা কামানো পিয়নের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সুইডেনে কোরআন পোড়ানো যুবককে গুলি করে হত্যা

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
Verified by MonsterInsights

পেছাল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ

আপডেট সময় ০৭:১২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ঋণ ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় উঠার কথা ছিল। তবে আইএমএফের বোর্ড সভা পিছিয়ে এখন নতুন তারিখ ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ঋণ ছাড়ের বিষয়টি এক মাস পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইএমএফের কার্যক্রমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ ছিল, যার কারণে বোর্ড সভার সময়সূচি পরিবর্তিত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এছাড়া, ডলারের দাম বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আইএমএফের কিছু চাপ ছিল, তবে আমরা ইতোমধ্যে বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি।”

অন্যদিকে, আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের শর্ত এবং ডলার দর বাজারে ছাড়ার বিষয়। তবে এনবিআরের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাই এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আইএমএফের ৩টি কিস্তি পেয়েছে এবং চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পেতে পারে।

এছাড়া, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের পরিমাণ আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর অনুরোধও বাংলাদেশ করেছে, যার জন্য আইএমএফ রাজি হয়েছে। তবে এই ঋণের জন্য কিছু কঠোর শর্ত যেমন কর আদায় বাড়ানো এবং নীতি গ্রহণকারী সংস্থাকে আলাদা করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছিলেন, চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তারা। তবে, এই ঋণ ছাড়ের জন্য রাজস্ব আয় বাড়ানোর শর্ত পূরণের আগে নির্বাহী পর্ষদ সভায় প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।