ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নব গঠিত জেলা ও মহানগর আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি পক্ষ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কারা অভ্যুত্থানের স্পিড ধারণ করে কাজ করছে এবং কে কে অভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী কাজ করেছে। গতকাল ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা এবং মহানগরের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি এই শহরে যারা আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে, তারা আজকের কমিটিতে সর্বোচ্চ উপেক্ষিত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জিকে ওমর জানান, ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর কমিটি প্রকাশ হওয়ার পূর্বে একাধিকবার ফোনে এবং স্বশরীরে ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির টিম লিডার লুৎফর রহমানকে ময়মনসিংহের সার্বিক পরিস্থিতি এবং টিমের অন্যান্য প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছিলো। কিন্তু যারা ৫ আগষ্ট এর পরবর্তীতে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটাকে ধারন না করে, বিভিন্ন অপকর্মে যেমন- বিআরটিসি অফিসে হামলা, আওয়ামী দোসরদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা, ইউএনও অফিসে চাঁদাবাজি, ডিআইজি অফিসে হামলা, খুনি আসামিকে ছাড়ানোর জন্য মধ্য রাতে বিভাগীয় কমিশনারকে ফোন দিয়ে সুপারিশ করার প্রস্তাব, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে শহরের দু’টি মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে। যার প্রেক্ষিতে থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগগুলো জানানোর পরও প্রতিনিধি টিম লিডার তাদেরকে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কমিটিতে বিভিন্ন সংগঠনের পদধারী ছাত্রনেতাদের বিনা অনুমতিতে পদায়ন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর কমিটি কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে৷ তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নেবেন৷ কারণ এরকম বিতর্কিত লোকদের সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়।’