বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার বিচারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিচারিক বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকার পরিবর্তনের কোনো সংযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি স্বাধীন বিচার বিভাগে আস্থা রাখা হয়, তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়।
বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ব্যাংকিং রিসার্চ (বিএসবিআর) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নন, আওয়ামী লীগের বাকি অপরাধীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। নির্বাচিত সরকারও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অপরাধীদের বিচার করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে নানা প্রস্তাব জুড়ে দেওয়া ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রতিফলন। জনগণ চায়, সরকার দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করুক।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমীর খসরু দেশের শিল্প খাত, বিশেষ করে শিপ ব্রেকিং শিল্পের ওপর সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দূষণের দোহাই দিয়ে শিপ ব্রেকিং শিল্পের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতকে শুধু মনিটরিং করা হচ্ছে, অথচ কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। এ শিল্পকে বাধাগ্রস্ত না করে বরং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন অতি নিয়ন্ত্রণের দেশে পরিণত হয়েছে। মানুষ নতুন শিল্প কারখানা গড়তে পারছে না। সরকার কেবল ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করছে। আমরা যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে সব ট্রেড সংগঠনগুলো সেলফ-রেগুলেশন পরিচালনা করতে পারবে।
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার শুধু রাজনীতিকে ধ্বংস করেনি, অর্থনীতিকেও বিপর্যস্ত করেছে। একই সঙ্গে সমাজের নীতি-নৈতিকতা ও ব্যবসার পরিবেশও ধ্বংসের মুখে পড়েছে।