দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজান এক সুধী সমাবেশে বলেছেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান কেবল নির্বাচনের জন্য ছিল না, বরং এটি ছিল একটি বৃহত্তর স্বপ্নের অংশ—একটি শোষণমুক্ত এবং স্বৈরাচারমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠা করার আকাঙ্ক্ষা। এজন্য একটি গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।
প্রফেসর মিজান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “আমাদের ইতিহাস সাক্ষী যে, অসংখ্য প্রাণ শহীদ হয়েছে, অনেকেই পঙ্গু বা অন্ধ হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানো হয়েছে। কিন্তু এসব ঘটেছে একটি সুস্থ, শোষণমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সামনে যে সকল বাঁধা ও অন্তরায় রয়েছে, তা অতিক্রম করতেই হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন, কারণ গণমানুষের রাজনীতি কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক দলগুলোই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশিষ্ট শিক্ষক তার বক্তৃতায় শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য শিক্ষার্থীদের একত্রিত হওয়ার এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সকল স্তরের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সংগ্রাম নয়, এটি একটি সামাজিক বিপ্লব, যেখানে সকল মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হবে।”
প্রফেসর ড. মিজান আরও বলেন, “আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি মুক্ত ও সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত থাকবে এবং সত্যিকার গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সমাজ গড়ে উঠবে।”