আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যসহ মোট ৪৬ জন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “অনেকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ন্যস্ত, আশা করি তারা আদালতের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পদক্ষেপ নেবে।”
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আরও জানান, ১ থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মূলভবনে মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হতে পারে।
গত ১৭ অক্টোবর, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, আনিসুল হক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিত্ব।
আদালতের এই নির্দেশনায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রেক্ষিতে আইজিপির অধীনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।