ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কোনো আগাম অনুমান করা অর্থপূর্ণ নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে না।
তিনি বলেন, “আমরা দুই-তিন মাস অপেক্ষা করে দেখব, আমেরিকা কীভাবে প্রশাসন চালায়, তারপরই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।”
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদ হোসেন এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শুধু কোন দলের উপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের সঙ্গে পূর্ববর্তী ট্রাম্প প্রশাসন এবং বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্কের যে বিষয়গুলো আলোচনায় ছিল, সেগুলো খুব একটা পরিবর্তন হবে না। আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে, এরপর দেখা যাবে কী ঘটে।”
এটি উল্লেখযোগ্য যে, গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনে জয়ের পর বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে, প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, “ট্রাম্পের নির্বাচনী জয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান দলের নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের পুরনো বন্ধুত্ব রয়েছে, ফলে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
ট্রাম্পের বিজয়ের পর, বাংলাদেশের তরফ থেকে এই সম্পর্ক উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ বিষয়। আমরা যা আলোচনা করছিলাম তা আগের প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল, নতুন সরকারের সঙ্গে কি হবে তা দেখার জন্য কিছু সময় দরকার।”