ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান ৭ টেলিকম সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে বিটিআরসি উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বতন্ত্র কাউন্সিল গঠন, অধ্যাদেশ জারি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন করবে ভারত: আইন উপদেষ্টা বোর্ডের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ ক্রিকেট বাধাগ্রস্ত: নিক পোথাস তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: নিহত ৬৬, আহত ৫১ জামায়াতে ইসলামীর আমীরের সঙ্গে চরমোনাই পীরের সৌজন্য সাক্ষাৎ মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয় অবরোধ তুলে নিলেন বিদেশ গমনেচ্ছুরা শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মির্জা ফখরুল

মাইলেজ প্রদানের দাবীতে ঈশ্বরদীতে ট্রেনের সামনে বিক্ষোভ রেলওয়ে কর্মচারীদের

বিধি মোতাবেক অর্জিত মাইলেজ প্রদানের দাবীতে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আন্তঃনগর দু’টি ট্রেনের সামনে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীরা।

আগামী ২৭ জানুয়ারি রাত ১২টার মধ্যে দাবী না মানলে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। এতে ট্রেন চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় ও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ ও চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছালে ট্রেন দু’টির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীরা। কিছু সময় বিক্ষোভ শেষে রেললাইন থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপর ট্রেন দু’টি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

পরে দুই নাম্বার প্লার্টফর্মে পথসমাবেশ করেন কর্মচারীরা। এসব কর্মসূচীতে অংশ নেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেন পরিচালক (গার্ড), ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) ট্রেন চালক (এলএম) ও সহকারী ট্রেন চালক (এএলএম)।

সমাবেশে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ঈশ্বরদী শাখার দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন, রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, রেল শ্রমিকদল ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মাসুদ রানা নয়ন, শ্রমিক দল ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক ছবি মন্ডল, রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন টিটিই’জ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আকরামুল হক প্রমুখ।

রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ব্রিটিশ আমলে এদেশে রেল চালুর শুরু থেকে ১৬০ বছরের অধিক সময় ধরে রেলওয়েতে প্রচলিত কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আমরা রানিং স্টাফরা ‘পার্ট অফ পে’ রানিং এলাউন্স এবং ৭৫% রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন পেয়ে আসছি। ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ০৩/১১/২০২১ তারিখের পত্রের অসম্মতি প্রত্যাহার করে লিখিত আদেশ জারি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফরা রানিং এলাউন্স না পাওয়ায় দৈনিক ৩০০ টাকা হারে যে বেতন পান তা দিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ দূরের কথা নিজের খাওয়া চলে না। আমরা কি খাবো, আর পরিবারকে কি খাওয়াবো? ২০২২ সাল পরবর্তী সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের পূর্ববর্তী রানিং স্টাফদের ন্যায় মাইলেজ ভাতা এবং পেনশন সুবিধা প্রদান করতে হবে। এগুলো প্রদান করা প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এখন সেটা প্রদান না করে দীর্ঘদিন নানা তালবাহানা করছে।

রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ। মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় একদিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য আন্দোলন করে আসছে।

তিনি আরও জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি তারিখের পূর্বে রেলওয়ে রানিং কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক মাইলেজ যোগ করে প্রদানের ক্ষেত্রে ৩/১১/২০২১ তারিখের পত্রের অসম্মতি প্রত্যাহার এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক ১২ এবং ১৩ নং শর্তটি বাতিল করে রেলওয়ে প্রচলিত কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আদেশ জারি করতে হবে। তা না করা হলে আগামী ২৮ জানুয়ারি হতে সারাদেশের সকল রানিং স্টাফরা একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হবে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি।’

উল্লেখ্য, পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ১০৮টি ট্রেন চলাচল করে। তার মধ্যে আন্তঃনগর ৫৪টি, মেইল ট্রেন ৩৫টি, লোকাল ট্রেন ১৯টি এবং মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ব্যাপক শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি

মাইলেজ প্রদানের দাবীতে ঈশ্বরদীতে ট্রেনের সামনে বিক্ষোভ রেলওয়ে কর্মচারীদের

আপডেট সময় ০৮:০৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বিধি মোতাবেক অর্জিত মাইলেজ প্রদানের দাবীতে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে আন্তঃনগর দু’টি ট্রেনের সামনে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীরা।

আগামী ২৭ জানুয়ারি রাত ১২টার মধ্যে দাবী না মানলে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাবেন রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। এতে ট্রেন চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় ও বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ ও চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছালে ট্রেন দু’টির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীরা। কিছু সময় বিক্ষোভ শেষে রেললাইন থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। এরপর ট্রেন দু’টি গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

পরে দুই নাম্বার প্লার্টফর্মে পথসমাবেশ করেন কর্মচারীরা। এসব কর্মসূচীতে অংশ নেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ট্রেন পরিচালক (গার্ড), ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) ট্রেন চালক (এলএম) ও সহকারী ট্রেন চালক (এএলএম)।

সমাবেশে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ঈশ্বরদী শাখার দপ্তর সম্পাদক শাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন, রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, রেল শ্রমিকদল ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মাসুদ রানা নয়ন, শ্রমিক দল ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক ছবি মন্ডল, রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন টিটিই’জ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আকরামুল হক প্রমুখ।

রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ব্রিটিশ আমলে এদেশে রেল চালুর শুরু থেকে ১৬০ বছরের অধিক সময় ধরে রেলওয়েতে প্রচলিত কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আমরা রানিং স্টাফরা ‘পার্ট অফ পে’ রানিং এলাউন্স এবং ৭৫% রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন পেয়ে আসছি। ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়াতে রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ০৩/১১/২০২১ তারিখের পত্রের অসম্মতি প্রত্যাহার করে লিখিত আদেশ জারি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফরা রানিং এলাউন্স না পাওয়ায় দৈনিক ৩০০ টাকা হারে যে বেতন পান তা দিয়ে পরিবারের ভরণ পোষণ দূরের কথা নিজের খাওয়া চলে না। আমরা কি খাবো, আর পরিবারকে কি খাওয়াবো? ২০২২ সাল পরবর্তী সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের পূর্ববর্তী রানিং স্টাফদের ন্যায় মাইলেজ ভাতা এবং পেনশন সুবিধা প্রদান করতে হবে। এগুলো প্রদান করা প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এখন সেটা প্রদান না করে দীর্ঘদিন নানা তালবাহানা করছে।

রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ। মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় একদিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য আন্দোলন করে আসছে।

তিনি আরও জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি তারিখের পূর্বে রেলওয়ে রানিং কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক মাইলেজ যোগ করে প্রদানের ক্ষেত্রে ৩/১১/২০২১ তারিখের পত্রের অসম্মতি প্রত্যাহার এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের বৈষম্যমূলক ১২ এবং ১৩ নং শর্তটি বাতিল করে রেলওয়ে প্রচলিত কোড ও বিধি বিধানের আলোকে আদেশ জারি করতে হবে। তা না করা হলে আগামী ২৮ জানুয়ারি হতে সারাদেশের সকল রানিং স্টাফরা একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হবে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি।’

উল্লেখ্য, পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ১০৮টি ট্রেন চলাচল করে। তার মধ্যে আন্তঃনগর ৫৪টি, মেইল ট্রেন ৩৫টি, লোকাল ট্রেন ১৯টি এবং মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ব্যাপক শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।