ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
টাইম সাময়িকীর উদীয়মান ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম রাষ্ট্র সংস্কার: ৬ কমিশনের ৫টির পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ এইউবির অধ্যাপক থেকে সোমালিয়ার দারুসসালাম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য; সংবর্ধনা পেলেন ড. আসিফ মিজান অনির্দিষ্টকালের জন্য সাজেক ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিল জেলা প্রশাসন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১ শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়েছে নরসুন্দর গাজীপুরে আজও ৮ পোশাক কারখানা বন্ধ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মার্কিন নাগরিক নিহত বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দুর্নীতির তথ্য জানানো যাবে ই-মেইলের মাধ্যমে
সংবাদ শিরোনামঃ
তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাবনায় সাবেক ২ মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা তার মালিকানা নগদ ডিস্ট্রিবিউশন এফ আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে কারাগার থেকে পালানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু অপহরণের জন্যই ঢাকায় আসে চক্রটি, দাবি করে ১০ লাখ টাকা চালু না হতেই বন্ধ ঠাকুরগাঁও চিনিকলের আখমাড়াই
গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উনয়নে ভূমিকা রাখছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শে মানসম্মত ও টেকসই উন্নয়নে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এলজিইডির প্রকৌশলীরা বদ্ধপরিকর

  • জগলুল কবির নাসির
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৫২ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। ৬০ এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। পল্লী অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উনয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এলজিইডি যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান। দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব অবকাঠামোর অবদান অপরিসীম।

প্রত্যন্ত পল্লীর মানুষ আজ সর্বোচ্চ ২ কিলোমিটারের মধ্যে পাকা সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লীর এসব অবকাঠামো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উনয়নে ভূমিকা রাখছে

নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে (পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন) কারিগরি সহায়তা প্রদান ও এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যবস্থা ও দক্ষতা উনয়নেও এলজিডি সম্পৃক্ত। দেশের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতেও এলজিডি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে সারাদেশে ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এসব প্রকল্পে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উনয়নের পাশাপাশি এসব অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান এলজিইডির কর্মতালিকার অংশ। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে এলজিইডি।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অবকাঠামোর তথ্য ভান্ডার, ম্যাপ, কারিগরি বিনির্দেশ (টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন), ম্যানুয়াল ইত্যাদি প্রণয়ন এবং দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সংস্থার নিজস্ব কর্মকর্তা/কর্মচারী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীজনদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এলজিইডি।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন বাংলাদেশ সময়কে জানান, ‘মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের পরামর্শে মানসম্মত ও টেকসই উনয়নে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এলজিডির প্রকৌশলীরা বদ্ধপরিকর। এলজিইডি সরকারের উন্নয়নে বৃহৎ অংশীদারি সংস্থা।’

তিনি জানান, ‘আমাদের প্রকৌশলীগণ কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময়েও কাজ চালিয়ে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এ সময় আমরা আমাদের অনেক প্রকৌশলীকে করোনাকালীন সময়ে হারিয়েছি। তবে, জনগণের কল্যাণে উনয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ‘এলজিডির মাধ্যমে আমরা পল্লী সেক্টরে সড়ক উন্নয়ন, ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ পাকা সড়ক, ব্রিজ কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ/সম্প্রসারণ করা, গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ ও বিভিন্ন সড়কে বৃক্ষ রোপণের কাজ  করে যাচ্ছি। নগর সেক্টরে ফুটপাত নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ, সড়ক মেরামত, বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, লেট্রিন, কমিউনিটি লেট্রিন নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও ডাস্টবিন নির্মাণ করা হয়েছে এলজিইডির মাধ্যমে।’

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ক্ষুদ্রাকার প্রাণিসম্পদ সেক্টরে বাঁধ পুনঃনির্মাণ/উনয়ন, পানি সম্পদ অবকাঠামো/রেগুলেটর নির্মাণ ও রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে বিগত সময়ে গড়ে প্রতিবছরে ৬১ হাজার ৫ শত ৪০ জন হিসাবে মোট ৮ লক্ষ ২০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। গড়ে প্রতিবছরে ১৪ হাজার ৬ শত ৩ জন হিসাবে মোট ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮ শত ৩৯ জন নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ও প্রতিবছর গড়ে ৪০ হাজার জন হিসাবে মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার জন নারীর আত্মকর্মসংস্থান সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।’

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মুজাক্কা জাহের বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ৩ শত ৩৩ টি ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়য়ের ১৪ টি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফলিতপুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালী শীর্ষক প্রকল্প (সাতটি অঞ্চলসহ প্রধান কার্যালয়)/জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি, গাজীপুরের অধীন জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি শক্তিশালী করণ শীর্ষ প্রকল্প/ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ পাইলট প্রকল্প/সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ (বিপণন অঙ্গ) প্রকল্প, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গাজীপুর সাফারি পার্কের এপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প/পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ শীর্ষ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ ভবন নির্মাণ প্রকল্প। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ১১ টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ। মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনকৃত মহিলা সমিতি ভিত্তিক ব্যতিক্রমী ব্যবসায়ী উদ্যোগ (জয়িতা- কালীগঞ্জ) শীর্ষক প্রকল্প (জয়িতা -বান্দরবান) শীর্ষক প্রকল্প/কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এতিম ও অসহায় কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে একাডেমিক এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। সুনামগঞ্জ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প (মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।”

এলজিইডি’র টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইউনিটের মাধ্যমে ১১ টি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উনয়ন্ন প্রকল্প সফলতার সহিত পরিচালনা করে আসছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৭ হাজার ৫ শত আধুনিক প্রাথমিক স্কুল ভবন, ত্রিশ হাজার ক্লাস রুম সম্পন্ন করা হয় এবং বর্তমানে ১৪ হাজার ক্লাস রুমের কার্যক্রম চলমান।”

জনপ্রিয় সংবাদ

টাইম সাময়িকীর উদীয়মান ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উনয়নে ভূমিকা রাখছে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শে মানসম্মত ও টেকসই উন্নয়নে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এলজিইডির প্রকৌশলীরা বদ্ধপরিকর

আপডেট সময় ০১:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা। ৬০ এর দশকে পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় এর পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের সীমানায় রয়েছে এলজিইডির বিশাল কর্মযজ্ঞ। পল্লী অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ এবং হাট-বাজার ও গ্রোথ সেন্টার উনয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এলজিইডি যে অবদান রেখেছে তা আজ দৃশ্যমান। দেশের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসব অবকাঠামোর অবদান অপরিসীম।

প্রত্যন্ত পল্লীর মানুষ আজ সর্বোচ্চ ২ কিলোমিটারের মধ্যে পাকা সড়ক ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লীর এসব অবকাঠামো ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এলজিইডি শহর ও নগর অঞ্চলেও ভৌত অবকাঠামো উনয়নে ভূমিকা রাখছে

নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে (পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন) কারিগরি সহায়তা প্রদান ও এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যবস্থা ও দক্ষতা উনয়নেও এলজিডি সম্পৃক্ত। দেশের কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতেও এলজিডি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে সারাদেশে ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এসব প্রকল্পে স্থানীয় অংশীজনদের অংশগ্রহণে প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামীণ ও নগর অবকাঠামো উনয়নের পাশাপাশি এসব অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান এলজিইডির কর্মতালিকার অংশ। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে এলজিইডি।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে অবকাঠামোর তথ্য ভান্ডার, ম্যাপ, কারিগরি বিনির্দেশ (টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন), ম্যানুয়াল ইত্যাদি প্রণয়ন এবং দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সংস্থার নিজস্ব কর্মকর্তা/কর্মচারী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অংশীজনদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে এলজিইডি।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার হোসেন বাংলাদেশ সময়কে জানান, ‘মাননীয় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের পরামর্শে মানসম্মত ও টেকসই উনয়নে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এলজিডির প্রকৌশলীরা বদ্ধপরিকর। এলজিইডি সরকারের উন্নয়নে বৃহৎ অংশীদারি সংস্থা।’

তিনি জানান, ‘আমাদের প্রকৌশলীগণ কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময়েও কাজ চালিয়ে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এ সময় আমরা আমাদের অনেক প্রকৌশলীকে করোনাকালীন সময়ে হারিয়েছি। তবে, জনগণের কল্যাণে উনয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ‘এলজিডির মাধ্যমে আমরা পল্লী সেক্টরে সড়ক উন্নয়ন, ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ পাকা সড়ক, ব্রিজ কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ/সম্প্রসারণ করা, গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ ও বিভিন্ন সড়কে বৃক্ষ রোপণের কাজ  করে যাচ্ছি। নগর সেক্টরে ফুটপাত নির্মাণ, ড্রেন নির্মাণ ব্রীজ/কালভার্ট নির্মাণ, সড়ক মেরামত, বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, লেট্রিন, কমিউনিটি লেট্রিন নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও ডাস্টবিন নির্মাণ করা হয়েছে এলজিইডির মাধ্যমে।’

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ক্ষুদ্রাকার প্রাণিসম্পদ সেক্টরে বাঁধ পুনঃনির্মাণ/উনয়ন, পানি সম্পদ অবকাঠামো/রেগুলেটর নির্মাণ ও রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে বিগত সময়ে গড়ে প্রতিবছরে ৬১ হাজার ৫ শত ৪০ জন হিসাবে মোট ৮ লক্ষ ২০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। গড়ে প্রতিবছরে ১৪ হাজার ৬ শত ৩ জন হিসাবে মোট ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮ শত ৩৯ জন নারীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ও প্রতিবছর গড়ে ৪০ হাজার জন হিসাবে মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার জন নারীর আত্মকর্মসংস্থান সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।’

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মুজাক্কা জাহের বলেন, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ৩ শত ৩৩ টি ভূমি অফিস ভবন নির্মাণ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়য়ের ১৪ টি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ শীর্ষ প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ফলিতপুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর অবকাঠামো নির্মাণ ও কার্যক্রম শক্তিশালী শীর্ষক প্রকল্প (সাতটি অঞ্চলসহ প্রধান কার্যালয়)/জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি, গাজীপুরের অধীন জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি শক্তিশালী করণ শীর্ষ প্রকল্প/ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ পাইলট প্রকল্প/সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ (বিপণন অঙ্গ) প্রকল্প, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গাজীপুর সাফারি পার্কের এপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প/পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ শীর্ষ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ ভবন নির্মাণ প্রকল্প। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ১১ টি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ। মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনকৃত মহিলা সমিতি ভিত্তিক ব্যতিক্রমী ব্যবসায়ী উদ্যোগ (জয়িতা- কালীগঞ্জ) শীর্ষক প্রকল্প (জয়িতা -বান্দরবান) শীর্ষক প্রকল্প/কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এতিম ও অসহায় কিশোরীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে একাডেমিক এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। সুনামগঞ্জ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প (মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।”

এলজিইডি’র টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইউনিটের মাধ্যমে ১১ টি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উনয়ন্ন প্রকল্প সফলতার সহিত পরিচালনা করে আসছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৭ হাজার ৫ শত আধুনিক প্রাথমিক স্কুল ভবন, ত্রিশ হাজার ক্লাস রুম সম্পন্ন করা হয় এবং বর্তমানে ১৪ হাজার ক্লাস রুমের কার্যক্রম চলমান।”