ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
কমলগঞ্জে ২০ দরিদ্র অসহায় শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান যশোর আইটি পার্ক বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিক আব্দুস শুকুরের উপর শ্রমিক লীগ নেতা ও তার পরিবারের সন্ত্রাসী হামলা মিতা রাণীর পরলোকগমন: সাংবাদিক নেতাদের শোক ডিমলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্লকেড কর্মসূচি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজা গ্রেফতার  মামলা করলেন সারজিস নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে মৌলভীবাজারে দেড় কোটি টাকার সিগারেট পোড়ালো বিজিবি “মেয়েদের মন, ব্রেক আপ” নামক পিঠার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে গুরুদয়াল কলেজে ১৬ বছর পর কারামুক্ত হলেন বিডিআরের ১৬৮ সদস্য ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) সহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম (২৭)।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। যদিও এ মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আ. হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ থেকে ২০ নম্বর আসামি সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সেজন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

বাদী তহমুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমি গুরুতর আহত হয়েছিলাম। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা রুজু করেছি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি দ্রুত তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ-হাসিনাসহ ১২৪ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল) সহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে তহমুল ইসলাম (২৭)।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলায় প্রথমবারের মতো আসামি হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। যদিও এ মামলায় আবদুল হামিদ ৩ নম্বর আসামি। ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে, ২ নম্বরে শেখ রেহানা। আবদুল হামিদের নামের বানান আ. হামিদ (৮০) লেখা হয়েছে। পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন ও সাং জেলার মিঠামইনের কামালপুর উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ থেকে ২০ নম্বর আসামি সারাদেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তারা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সেজন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

বাদী তহমুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় আমি গুরুতর আহত হয়েছিলাম। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা রুজু করেছি।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি দ্রুত তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।