বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ দেশের মানুষকে ভ্যাটের জালে দুর্বল না করে বিকল্প খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং আসন্ন রমজান মাসে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “সামনে রোজা আসছে। জনগণের জীবনকে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভ্যাটের জালে জনগণ ও ব্যবসায়ীদের দুর্বল না করে বরং এর বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে; এবং তা অবশ্যই দ্রুততম সময়ের মধ্যে।”
এর আগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও অদক্ষতার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুলাই আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।
তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থেই মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “এই দেশের অধিকাংশ মানুষ সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। দেশটা কেমন আছে সেটাও তারা বোঝার চেষ্টা করেন সহজ হিসাব-নিকাশের মধ্যেই। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে, বাবা-মা-সন্তানের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ হয় মানুষ, তখন তারা ধরে নেয় দেশটা ভালো নেই।”
সবশেষে তিনি লিখেছেন, “জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করে সরকারের এমন প্রতিটি পদক্ষেপের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এ দেশের প্রতিটি মানুষ জানার অধিকার রাখে। যেমন: সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কেনো ভ্যাট বৃদ্ধি করল, এর বিকল্প কী ছিল, কীভাবে জিনিসপত্রের দাম অতি দ্রুত মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে, কবের মধ্যে ভ্যাট কমানো হবে, এই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলো অবশ্যই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম একটি দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এটি নিয়ে ন্যূনতম গড়িমসি করার অর্থ হলো, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে গণমানুষের স্বপ্ন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।”