কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক একটি সচেতনতামূলক সেমিনার এবং ফ্রি থ্যালাসেমিয়া স্ক্রীনিং ক্যাম্পেইন বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. মো. মজিবুর রহমান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার, মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ এবং বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীবৃন্দ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ডঃ মুহাম্মদ সওগাতুল ইসলাম।
বায়োটেডের উদ্যোগে এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগিতায় সারাদেশের বিভিন্ন বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক সচেতনতা এবং ফ্রি স্ক্রীনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস এর আর্থিক সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হয় এই সচেতনতামূলক সেমিনার।
সেমিনারে মূল বক্তা ডঃ সওগাত বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার এবং বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। বক্তব্যে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে এবং বাংলাদেশে একটি নীরব মহামারী চলছে। এই মুহূর্তে সচেতন না হলে আগামী ১ দশকে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের সংখ্যা আশঙ্কাজজনক হারে বেড়ে যেতে পারে। তৈরি হতে পারে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় রকমের হুমকি।

তিনি আরও বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের সহজ কোনো চিকিৎসা নেই। যে সকল চিকিৎসা রয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অপরদিকে, বিয়ের পূর্বে সাধারণ একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক সনাক্ত করা সম্ভব হলে সাথে সন্তানদের মাঝে থ্যালাসিমিয়া রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেই জন্য প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা এবং প্রতিটি বিবাহযোগ্য নারী পুরুষের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ার বাহক শনাক্তকরণ।
ডঃ সওগাত জাতীয় পর্যায়ে বৃহৎ পরিসরে সনাক্তকরণ কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে এই রোগটিকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সাথে স্বাস্থ্য খাতে নীতি নির্ধারণে পর্যায়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করার আহ্বান জানান।
মেডিকেল কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী সেমিনারে এবং ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন।
বায়োটেডের উদ্যোগে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে এই কর্মসূচিটি পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়।
