ইসরায়েল ২০২৫ সালে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শেষ মাসে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তাদের শক্ত অবস্থান আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে তেহরানের সাম্প্রতিক ক্ষতির পর।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার মতে, ইসরায়েল মনে করে বাইডেনের প্রশাসনের তুলনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ইরানে হামলা করার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। এদিকে, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে সক্ষম হওয়া নিয়ে ইসরায়েলের উদ্বেগ রয়েছে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সময়মতো সাহায্য চেয়ে আসছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে ইরানও পাল্টা জবাব দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্রস্তুত এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের হুমকি দেয়, আমরা তাদের হুমকি দেবো।”
সম্প্রতি ইরান তাদের নতুন ‘গাজা’ ড্রোন উন্মোচন করেছে, যা একসঙ্গে ১২টি বোমা বহন করতে সক্ষম এবং ৪ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই শক্তিশালী ড্রোনটি ইসরায়েলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এটি দেশটির সীমান্তের বাইরেও হামলা চালাতে সক্ষম। ইরান আরও তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে বিপুল অগ্রগতি সাধন করেছে। ‘ইতেমাদ’ নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি ১,৭০০ কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে সক্ষম, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, ইসরায়েল ও ইরান দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলের ইরানে হামলার সম্ভাবনা এবং ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।