সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদসহ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মিছবাহুর রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন উপজেলার ৪ নম্বর সিন্দুরখান ইউনিয়নের শ্রীগাঁও এলাকার বাসিন্দা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ জসিম উদ্দীন।
মামলায় মো. আব্দুস শহীদ ছাড়াও অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, আরেক ভাই কমলগঞ্জ উপজেলা রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজের ক্যাশিয়ার বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎজ্যোতি ধর শুভ্র, উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ আক্তার, মো. জাফর মিয়া, আব্দুল মোছাব্বির লোকমান, মো. পারভেজ মিয়া, মো. নুরুল ইসলাম, মো. জালাল মিয়া, ভুন্ডল চাষা, হাফিজুর রহমান, মুহিবুর রহমান, আবেদ হোসেন, মসুদুর রহমান মসুদ, আবু জামান চৌধুরী রিপন, রাজু দেব রিটন, আকাশ দেব জুয়েল, দুলাল মিয়া, মো. শিপন মিয়া, মো. রাজন মিয়া, বদরুল আলম শিপলু, মো. আব্দুর রশিদ, মো. তারেক আজাদ, মো. সানুর মিয়া, মো. হামিদ মিয়া, মিতালী দত্ত, প্রাণেশ গোয়ালা, উজ্জ্বল দাস, সাজিদ মিয়া, জয়রাম কর্মকার, মো. মোস্তফা ও মহেন্দ্র কর। এছাড়াও মামলায় আরো ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিলেট যাওয়ার পথে হবিগঞ্জ জেলার মিরপুর নামক স্থানে অভ্যর্থনা জানিয়ে ফেরার পথে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ ও তার দুই ভাইয়ের নির্দেশে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীসহ বিএনপির লোকজনকে ঘেরাও করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেন।
মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ষ্ট্রট ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মিছবাহুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা আইন কর্মকর্তা (জিপি) মো. মামুনুর রশীদ।