ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শুল্ক আরোপ স্থগিত করে সমঝোতায় ট্রাম্প! ট্রাম্পকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন ডব্লিউএইচও প্রধান অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু মুখোমুখি প্রেস সচিব-ময়ূখ সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়া, তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে এইচআরডব্লিউ ভৈরবে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ৪০ সুনামগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন সরস্বতী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার আনোয়ার বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরস্বতী পূজা পরিদর্শন মির্জাপুরে তৃতীয়বারের মতো অভিযান চালিয়ে ৭ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন নীলফামারীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে র‍্যাবের অভিযানে ভারতীয় কম্বলসহ কাভার্ড ভ্যান জব্দ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির দেয়া সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ এবং দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা পালন করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “সকল ধর্মের মূল কথা হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ, এবং এই উদ্দেশ্যে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”

তিনি যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা সম্পর্কে বলেন, “যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী, যিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন।” রাষ্ট্রপতি আরও উল্লেখ করেন, যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা যদি সবার জীবনে প্রতিফলিত হয়, তবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বে শান্তি, কল্যাণ এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে।”

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রচেষ্টায় একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং বিশ্ব শান্তির পথে এগিয়ে যাবে।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে একটি কেক কাটেন এবং খ্রিস্ট ধর্মীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ফটোসেশনে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস রান্ডেল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ফাদার আলবার্ট রোজারিও এবং রেভারেস্ট মার্থা দাসসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শুল্ক আরোপ স্থগিত করে সমঝোতায় ট্রাম্প!

Verified by MonsterInsights

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০৮:৪১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির দেয়া সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান নেতৃবৃন্দ এবং দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা পালন করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “সকল ধর্মের মূল কথা হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ, এবং এই উদ্দেশ্যে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।”

তিনি যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা সম্পর্কে বলেন, “যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী, যিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন।” রাষ্ট্রপতি আরও উল্লেখ করেন, যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা যদি সবার জীবনে প্রতিফলিত হয়, তবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।

বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, “বিশ্বে শান্তি, কল্যাণ এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে।”

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রচেষ্টায় একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং বিশ্ব শান্তির পথে এগিয়ে যাবে।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিনে একটি কেক কাটেন এবং খ্রিস্ট ধর্মীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি ফটোসেশনে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস রান্ডেল, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ফাদার আলবার্ট রোজারিও এবং রেভারেস্ট মার্থা দাসসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।