বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের করা দাবিগুলোর বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি এবং জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্র, যা ডব্লিউএইচও’র সবচেয়ে বড় দাতা দেশ, তাদের প্রস্থান সংস্থাটির বাজেট এবং বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় একটি বড় শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তে দুঃখিত। আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্র এটি পুনর্বিবেচনা করবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত সাত বছরে ডব্লিউএইচও তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে এবং এটি আরও কার্যকরী হয়ে উঠছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে, ডব্লিউএইচও জরুরি সংস্কার গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে এবং অতিরিক্ত অর্থ দাবি করেছে। তবে, টেড্রোস এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি স্বেচ্ছা অনুদানের উপর নির্ভরশীল হলেও, ভবিষ্যতে এর বাজেটের ভারসাম্য আনতে সাধারণ সদস্য ফি’র মাধ্যমে অর্থায়ন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন যে, ডব্লিউএইচও কোভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। তবে, টেড্রোস তার এ অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, “ডব্লিউএইচও শুরু থেকেই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং সতর্কতা জারি করেছিল।” তিনি আরও বলেন, “ডব্লিউএইচও রাজনৈতিক নিরপেক্ষভাবে কাজ করে এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়।”
ডব্লিউএইচও’র প্রধান, টেড্রোস, এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে সংস্থাটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, কোনো একটি দেশ একা এই সংকট মোকাবিলা করতে পারে না, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।