ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বিপিএল ২০২৪ মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: মিরপুরে জমকালো মিউজিক ফেস্ট বকশিগঞ্জে নবাগত ইউএনওকে বরণ ও সাবেক ইউএনওকে বিদায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল, বেড়েছে পর্যটক ঝালকাঠিতে ফুয়াদ হত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তার কারাগারে কিশোরগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে: টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ময়মনসিংহে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিপুল সংখ্যক মাদক উদ্ধার ময়মনসিংহে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে বাইক্কা বিলে অতিথি পাখির কলতানে মুখর মৌলভীবাজারের অবৈধভাবে আগর কাঠ পাচারের সময় ট্রাক জব্দ বিএসএফের গুলিতে চা শ্রমিক গোপাল হত্যার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশ

কিশোরগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

নেশার টাকা ও সম্পত্তি বন্ধক দিতে কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় গর্ভধারিণী মা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ এনে ছেলে আবু তাহের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হতভাগী মা হাদিছা বেগম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মা হাদিছা বেগম ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালতে।

হাদিছা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছেলে নেশাখোর বিধায় তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় আমার ছেলে আমার উত্তরের ভিটির বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি হলুদ কাগজে আমাকে সই করতে বলে এবং ৫০ হাজার টাকা ও কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে বলে জানায়। আমি অস্বীকার করায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার বড় ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তার ডান চোখে একটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে অনুমান ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার চিৎকারে সবাই ঘটনাস্থলে এসে দেখে ও ছেলে হুমকি দেয়, ভবিষ্যতে তার কথামতো জমি না দিলে আমাকে খুন করবে। আমার ঘটনার সাক্ষী আছে। সাক্ষীরা ঘটনা প্রমাণ করবে।’

সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ার পরপরই মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৬ ভাই আবু তাহেরের বিপক্ষে। মামলায় সাক্ষী করেন আসামির ৬ ভাইকে। তারা হলেন হারুণ অর রশিদ, আবুল কালাম, রায়হান, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম, খায়রুল।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপিএল ২০২৪ মৌসুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: মিরপুরে জমকালো মিউজিক ফেস্ট

কিশোরগঞ্জে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

আপডেট সময় ০৭:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নেশার টাকা ও সম্পত্তি বন্ধক দিতে কাগজে স্বাক্ষর না দেওয়ায় গর্ভধারিণী মা ও ভাইকে মারধরের অভিযোগ এনে ছেলে আবু তাহের (৩৮) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হতভাগী মা হাদিছা বেগম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মা হাদিছা বেগম ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল গ্রহণকারী আদালতে।

হাদিছা বলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন নেশার টাকার জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিলে সে আমাদের মারপিট করে নির্যাতন করতো। এমনকি ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করতো। তার অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছেলে নেশাখোর বিধায় তাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘটনার দিন (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় আমার ছেলে আমার উত্তরের ভিটির বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে একটি হলুদ কাগজে আমাকে সই করতে বলে এবং ৫০ হাজার টাকা ও কিছু জমি বন্ধক দিতে হবে বলে জানায়। আমি অস্বীকার করায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তখন আমার বড় ছেলে আমাকে রক্ষা করতে গেলে তার ডান চোখে একটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে অনুমান ১ লাখ টাকার ক্ষতি করে। আমার চিৎকারে সবাই ঘটনাস্থলে এসে দেখে ও ছেলে হুমকি দেয়, ভবিষ্যতে তার কথামতো জমি না দিলে আমাকে খুন করবে। আমার ঘটনার সাক্ষী আছে। সাক্ষীরা ঘটনা প্রমাণ করবে।’

সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমি খবর পাওয়ার পরপরই মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, তারা ৭ ভাইয়ের মধ্যে ৬ ভাই আবু তাহেরের বিপক্ষে। মামলায় সাক্ষী করেন আসামির ৬ ভাইকে। তারা হলেন হারুণ অর রশিদ, আবুল কালাম, রায়হান, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম, খায়রুল।