ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে: টি বোর্ডের চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন (এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি) বলেছেন, “সেল প্রাইসটা কম থাকাতে কতটুকু প্রফিটে থাকবে টি গার্ডেনগুলো সেটা বছরের শেষে বলা যাবে। তবে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১০৪ মিলিয়ন কেজির মতো। এবার আমরা কাছাকাছি চলে যাবো। তবে এক্সপোর্টের দিক থেকে গতবারের চেয়ে লক্ষমাত্রা এবার বেশি আছে। যদিও আমাদের এই সেক্টরটা একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পাস করছে। এই সেক্টরে যারা জড়িত তাদেরকে বলবো উন্নতি করতে হলে ডিপলী ইনভলব থাকতে হবে। গার্ডেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যানেজার। একটা বাগানের ম্যানেজার ঠিক থাকলে কোনোভাবেই বাগানে লস হবে না। ম্যানেজার ঠিক না থাকলে কোনোভাবেই বাগান লাভবান হবে না। চা বাগান লসের ডিসক্রেডিট দিতে হলে টি বোর্ডকেও দিতে হবে। কারণ টি বোর্ড এর সাথে জড়িত।”

এ সময় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমি গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ টি বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে অনেক বাগানের মালিক এবং ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলেছি। আমাদের নিজস্ব গার্ডেনগুলো ঘুরে দেখেছি। তারা বাগানে লোকসানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এভাবে বাগান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান। কিন্তু একেকটা বাগানে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছেন। এই সেক্টরটা যদি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং এভাবে বাগানগুলোকে লস দিতে হয়, তাহলে আমার মনে হয় না কেউ টি বিজনেসে ইন্টারেস্টেড হবে। আমি নিজে কোনো গার্ডেনের অউনার হলে এভাবে লস দিয়ে বাগান চালিয়ে যেতাম না।”

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) কর্তৃক আয়োজিত প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে ‘সেমিনার অন দ্যা ইউজ অব বিটিআরআই অপ্টিমাইজড টেকনোলজিস ফর দ্যা স্টেকহোল্ডারস’ (বিটিআরআই অপ্টিমাইজড প্রযুক্তি স্টেকহোল্ডারদের ব্যবহার বিষয়ে সেমিনার) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেম চা বোর্ডের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালী বোনার্জী’র পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের নব নিযুক্ত সদস্য এবং যগ্ম সচিব ড. পিযুষ দত্ত। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ফিনলে টি কোম্পানীর সিইও তাহসিন আহমেদ চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক।

বাগান মালিকদের উদ্দেশ্যে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘চা এবং এই সেক্টরের উন্নতির জন্য প্রতি বছর আমরা ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা খরচ করি। আমাদের রিসার্চাররা অনেক কোয়ালিটি রিসার্চার এবং তাদের অনেক এক্সপেরিয়েন্স এবং দক্ষতা আছে। কৃষি ব্যাংক থেকে লো ইন্টারেষ্টে লোন দেয়া হয়। আমি কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে কখনো দ্বিধাবোধ করবো না। আপনারাও কাজ করুন, আমি ধরিয়ে দিব কোথায় কোথায় প্রবলেম আছে। প্রয়োজনে আমি নিজে আপনাদের গার্ডেনে যাবো।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে: টি বোর্ডের চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৭:০২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন (এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি) বলেছেন, “সেল প্রাইসটা কম থাকাতে কতটুকু প্রফিটে থাকবে টি গার্ডেনগুলো সেটা বছরের শেষে বলা যাবে। তবে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে কম হবে না বরং বেশি হবে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১০৪ মিলিয়ন কেজির মতো। এবার আমরা কাছাকাছি চলে যাবো। তবে এক্সপোর্টের দিক থেকে গতবারের চেয়ে লক্ষমাত্রা এবার বেশি আছে। যদিও আমাদের এই সেক্টরটা একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পাস করছে। এই সেক্টরে যারা জড়িত তাদেরকে বলবো উন্নতি করতে হলে ডিপলী ইনভলব থাকতে হবে। গার্ডেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ম্যানেজার। একটা বাগানের ম্যানেজার ঠিক থাকলে কোনোভাবেই বাগানে লস হবে না। ম্যানেজার ঠিক না থাকলে কোনোভাবেই বাগান লাভবান হবে না। চা বাগান লসের ডিসক্রেডিট দিতে হলে টি বোর্ডকেও দিতে হবে। কারণ টি বোর্ড এর সাথে জড়িত।”

এ সময় টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমি গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ টি বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে অনেক বাগানের মালিক এবং ব্যবস্থাপকের সাথে কথা বলেছি। আমাদের নিজস্ব গার্ডেনগুলো ঘুরে দেখেছি। তারা বাগানে লোকসানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এভাবে বাগান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান। কিন্তু একেকটা বাগানে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছেন। এই সেক্টরটা যদি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং এভাবে বাগানগুলোকে লস দিতে হয়, তাহলে আমার মনে হয় না কেউ টি বিজনেসে ইন্টারেস্টেড হবে। আমি নিজে কোনো গার্ডেনের অউনার হলে এভাবে লস দিয়ে বাগান চালিয়ে যেতাম না।”

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) কর্তৃক আয়োজিত প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে ‘সেমিনার অন দ্যা ইউজ অব বিটিআরআই অপ্টিমাইজড টেকনোলজিস ফর দ্যা স্টেকহোল্ডারস’ (বিটিআরআই অপ্টিমাইজড প্রযুক্তি স্টেকহোল্ডারদের ব্যবহার বিষয়ে সেমিনার) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেম চা বোর্ডের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালী বোনার্জী’র পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের নব নিযুক্ত সদস্য এবং যগ্ম সচিব ড. পিযুষ দত্ত। এ সময় বক্তব্য রাখেন, ফিনলে টি কোম্পানীর সিইও তাহসিন আহমেদ চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক।

বাগান মালিকদের উদ্দেশ্যে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘চা এবং এই সেক্টরের উন্নতির জন্য প্রতি বছর আমরা ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা খরচ করি। আমাদের রিসার্চাররা অনেক কোয়ালিটি রিসার্চার এবং তাদের অনেক এক্সপেরিয়েন্স এবং দক্ষতা আছে। কৃষি ব্যাংক থেকে লো ইন্টারেষ্টে লোন দেয়া হয়। আমি কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে কখনো দ্বিধাবোধ করবো না। আপনারাও কাজ করুন, আমি ধরিয়ে দিব কোথায় কোথায় প্রবলেম আছে। প্রয়োজনে আমি নিজে আপনাদের গার্ডেনে যাবো।’