চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আনিস আহমেদ। তিনি বলেন, আজ শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা শহর ও শহরের বাইরের এলাকাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রাম ও চা বাগানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। বিশেষ করে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল চা বাগানগুলোয় শীত উপেক্ষা করে সকালবেলা কাজে বের হতে দেখা গেছে চা শ্রমিকদের।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রার পারদ আরো নামবে, বাড়বে শীত। এদিকে শীত বাড়ার সাথে সাথে বিচিত্র হতে শুরু করেছে এখানকার প্রকৃতির রুপ।
চা বাগানের সারি সারি ছায়া গাছগুলো সকাল-সন্ধ্যা ঢাকা পড়ছে ধুসর কুয়াশার চাদরে। শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলসহ হাওর, জলাশয় আর চা বাগান লেকগুলো অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখর হয়ে উঠেছে।
প্রকৃতির এই রূপের সুধা পান করতে পর্যটকদের ভিড়ও বেড়েছে সবুজ ঘন চা বাগান, হাওর, বিল, জলাশয় আর চা-বাগান লেকসহ শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের নজরকাঁড়া নান্দনিক সৌন্দর্যময় পর্যটন স্পটগুলোতে। শীতে ভ্রমনের মজাই আলাদা। তাই শীতে ভ্রমণ পিপাসুরা শ্রীমঙ্গলে এসে খোলা গাড়িতে হই-হুল্লোরে মেতে উঠেছেন। চলছে সেলফি তোলার ধুম। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে রিসোর্ট, কটেজ, বাংলো, আবাসিক হোটেলগুলো পর্যটকদের ভিড় লেগেই রয়েছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাসে স্কুলগুলোতে পরিক্ষা শেষে ছুটি থাকায় শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। তবে ট্রেনের টিকেট সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে।
নিয়মিত যাত্রী ছাড়াও পর্যটক বেড়ে যাওয়ায় শ্রীমঙ্গলে প্রচুর টিকেট সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা মতো টিকেট না পাওয়ায় অনেকেই পড়েছেন বিড়ম্বনায়। অনেককেই আসন না পেয়ে আসনবিহীন স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়ে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। ট্রেনগুলোতেও ভিড় লেগে রয়েছে।