ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ বড়লেখায় ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে চা শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার বগুড়ায় আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো কঠিন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মাত্র একটি ট্রেন ও ঘোষিত সময়সূচীতে যশোরবাসী হতাশ ও ক্ষুব্ধ বোবারথল এলাকায় ভূমির অধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে চিকিৎসকদের অবস্থান গাজায় দু’টি হাসপাতাল ও একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৮ ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অবস্থান ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩৮ সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ লঘুচাপে পরিণত, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুযোগ পেলেন বিচারকরাও

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন সুবিধা ঘোষণা করেছে সরকার। তারা এখন সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনতে পারবেন এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২৪’ শিরোনামে এই নীতিমালা জারি করেছে আইন ও বিচার বিভাগ। এই নীতিমালার আওতায় বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ পাবেন এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এবং কমপক্ষে তিন বছর চাকরি করা কর্মকর্তারা, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব এবং সিনিয়র সচিবরা এই সুবিধা পাবে। এছাড়া বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরিকাল ১৫ বছর পূর্ণ করা যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজদেরও এই সুবিধা প্রযোজ্য।

সুদমুক্ত ঋণের আওতায় তারা গাড়ি কেনার জন্য ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। গাড়ি কেনার পর, বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, জ্বালানি, ড্রাইভার বেতনসহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। যারা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন, তাদের জন্য এই সুবিধা হবে ২৫ হাজার টাকা মাসিক।

নীতিমালা অনুযায়ী, সুদমুক্ত ঋণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবসরোত্তর ছুটি শুরুর আগে কমপক্ষে এক বছর চাকরি থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বিভাগের মামলা বা ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, গুরুদণ্ডপ্রাপ্তদের ঋণ দেয়া হবে না।

এছাড়া, ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং গাড়ি হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপটি বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে, যা তাদের কাজের সুবিধা ও সুবিধার মান উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ

সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুযোগ পেলেন বিচারকরাও

আপডেট সময় ১০:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন সুবিধা ঘোষণা করেছে সরকার। তারা এখন সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনতে পারবেন এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২৪’ শিরোনামে এই নীতিমালা জারি করেছে আইন ও বিচার বিভাগ। এই নীতিমালার আওতায় বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণ পাবেন এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া এবং কমপক্ষে তিন বছর চাকরি করা কর্মকর্তারা, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব এবং সিনিয়র সচিবরা এই সুবিধা পাবে। এছাড়া বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরিকাল ১৫ বছর পূর্ণ করা যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজদেরও এই সুবিধা প্রযোজ্য।

সুদমুক্ত ঋণের আওতায় তারা গাড়ি কেনার জন্য ১ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। গাড়ি কেনার পর, বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, জ্বালানি, ড্রাইভার বেতনসহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। যারা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন, তাদের জন্য এই সুবিধা হবে ২৫ হাজার টাকা মাসিক।

নীতিমালা অনুযায়ী, সুদমুক্ত ঋণ পেতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবসরোত্তর ছুটি শুরুর আগে কমপক্ষে এক বছর চাকরি থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বিভাগের মামলা বা ফৌজদারি মামলা চলমান থাকলে, গুরুদণ্ডপ্রাপ্তদের ঋণ দেয়া হবে না।

এছাড়া, ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং গাড়ি হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপটি বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে, যা তাদের কাজের সুবিধা ও সুবিধার মান উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।