আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ দু’দেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকে মিলিত হন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনাকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন সেনাপ্রধান। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বসহ তুলে ধরেন এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
তিনি র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে থাকা সেনাসদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রসঙ্গে, প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার বিষয়টি জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। একইসঙ্গে, বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নেওয়া নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সফরের শেষ পর্যায়ে, যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দ্য আর্মি জেনারেল র্যান্ডি এ জর্জ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী সামরিক সচিব ড. এলি রাটনারসহ স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, প্রশিক্ষণ সহায়তা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা ও যৌথ প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
কানাডা সফরে ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন আর কেলসির সঙ্গে সাক্ষাতে সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করতে অনুরোধ জানান। এছাড়াও, সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, শিক্ষার্থী আদান-প্রদান, কৃষি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যখাতে সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য সালমা জাহিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার এইচই অজিত সিং এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে অবদান, বিদেশে প্রশিক্ষণ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।