পাবনায় মহাসড়কে গাড়ি আটকিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদের কাছ থেকে বিশকিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে পাবনা সদর উপজেলার পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের ধোপাঘাটা নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাইকরহাটি শহীদনগর গ্রামের বাবু শেখের ছেলে রাকিব শেখ (২৩), নাটোর সদর উপজেলার ভাবনী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জাকের ইসলাম (২২), লোচনগড় গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাসেল মিয়া (২০) ও সিংড়া উপজেলার আলাদী গ্রামের হযরত মোল্লার ছেলে শাহাদত হোসেন (২৫)।
এ সময় আরো ৪ জন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়। তারা হলো, নাটোর সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে হেফাজত (৩০), লোচনগড় গ্রামের ইমন হোসেন (২০), একই গ্রামের কাউসার হোসেন (১৯) ও সাগর হোসেন (২৩)।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, পাবনা সদর উপজেলার ধোপাঘাটা মোড় এলাকায় একটি মাইক্রেবাস নিয়ে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কে বাসে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় চারজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। এ সময় ডাকাত দলের আরো ৪ সদস্য পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। তাদের সাথে থাকা মাইক্রোবাস থেকে ডাকাতির বেশকিছু সরঞ্জাম ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ডাকাত সদস্য শাহাদত হোসেনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ভর্তি করা হয়।
ওসি জানান, আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা মাইক্রোবাস নিয়ে ধোপাঘাটা মোড়ে ঢাকা থেকে শাহজাদপুর থেকে পাবনায় আসা প্রসেসিং সুতার গাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে স্থানীয় জনতা টের পেয়ে তাদের আটক করে মারধর করে।
ওসি আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আহত ডাকাত সদস্য সুস্থ্য হওয়ার পর ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকেও জেলহাজতে পাঠানো হবে।