ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
লালমনিরহাটে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আর্থিক সাহায্যের চেক বিতরণ আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা মৌলভীবাজারে অটিজম ও এনডিডি শিশুদের নিয়ে তারুণ্যের উৎসব ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই পেট্রোল পাম্প ও ফসলী জমির টপ সয়েল কাটার দায়ে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জেসিনার পদ স্থগিত যশোরের কেশবপুরে লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রলীগের দুই কর্মী আটক ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় ভালো নেই সুনীলের কুলা তৈরির ঐতিহ্য ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক কার্যনিবার্হী কমিটি গঠিত উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় প্রাথমিকের শিক্ষককে শোকজ ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১১ বিএনপিপন্থী আইনজীবী খালাস

টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার উৎস নিয়ে তদন্ত

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ডের লন্ডনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তদন্ত পরিচালনা করছে। সূত্রের দাবি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাৎ করেই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয় এবং তা পরে লন্ডনে পাঠানো হয়। দুদক জানিয়েছে, তারা তদন্তের একটি আপডেট পেয়ে ফ্ল্যাটের কেনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্তের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে, টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনও দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, যার মধ্য দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ পেলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ইতিমধ্যে এ বিষয়ে গোপন তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

ব্রিটেনের দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে টিউলিপের পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং তা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করা হতে পারে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাটে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার উৎস নিয়ে তদন্ত

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ডের লন্ডনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তদন্ত পরিচালনা করছে। সূত্রের দাবি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাৎ করেই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয় এবং তা পরে লন্ডনে পাঠানো হয়। দুদক জানিয়েছে, তারা তদন্তের একটি আপডেট পেয়ে ফ্ল্যাটের কেনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্তের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে, টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনও দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, যার মধ্য দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ পেলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ইতিমধ্যে এ বিষয়ে গোপন তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

ব্রিটেনের দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে টিউলিপের পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং তা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করা হতে পারে।