ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ক্লিন সিটি গড়তে চসিককে ২৫০০ ওয়েস্ট বিন দিল এনআরবি ব্যাংক পবাফুফেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিকশা ভাড়া নির্ধারণ হাসপাতাল ভবন আছে, চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর্যাপ্ত জনবল নাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফা দাবি আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা উত্তরা-পশ্চিম থানায় হামলার ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস কেমন রাজনৈতিক দল চায় জনগণ, মতামত চেয়েছেন হাসনাত টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার উৎস নিয়ে তদন্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন চলছে বিজেপি-আম আদমি পার্টির ভোটের যুদ্ধ

টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার উৎস নিয়ে তদন্ত

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ডের লন্ডনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তদন্ত পরিচালনা করছে। সূত্রের দাবি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাৎ করেই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয় এবং তা পরে লন্ডনে পাঠানো হয়। দুদক জানিয়েছে, তারা তদন্তের একটি আপডেট পেয়ে ফ্ল্যাটের কেনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্তের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে, টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনও দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, যার মধ্য দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ পেলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ইতিমধ্যে এ বিষয়ে গোপন তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

ব্রিটেনের দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে টিউলিপের পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং তা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করা হতে পারে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্লিন সিটি গড়তে চসিককে ২৫০০ ওয়েস্ট বিন দিল এনআরবি ব্যাংক

Verified by MonsterInsights

টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার উৎস নিয়ে তদন্ত

আপডেট সময় ০৩:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ডের লন্ডনের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তদন্ত পরিচালনা করছে। সূত্রের দাবি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাৎ করেই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থিত একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয় এবং তা পরে লন্ডনে পাঠানো হয়। দুদক জানিয়েছে, তারা তদন্তের একটি আপডেট পেয়ে ফ্ল্যাটের কেনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছে। তদন্তের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে, টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনও দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল, যার মধ্য দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ পেলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) ইতিমধ্যে এ বিষয়ে গোপন তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

ব্রিটেনের দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে টিউলিপের পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে এবং তা যদি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে আন্তর্জাতিকভাবে অভিযুক্ত করা হতে পারে।