ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১১ বিএনপিপন্থী আইনজীবীকে খালাস দিয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাইবার আদালতের বিচারক রুনা নাহিদ খান ১১ আইনজীবীকে খালাসের নির্দেশ দেন।
খালাস পাওয়া আইনজীবীরা হলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাড. নুরুল হক, উসমান গনি মল্লিক মাখন, তোফাজ্জল হোসেন, রেজাউল করিম চৌধুরী, মাহবুবর রশীদ তামান্না, আবুল কালাম আজাদ, শামসুন্নাহার, জহিরুল ইসলাম নিজুম, আরিফুল ইসলাম সোহাগ, রাইসুর ইসলাম, আহসান উল্লাহ আনার।
সাইবার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোখলেছুর রহমান কেনান আইনজীবীদের খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মামলার তদন্তে শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করার সত্যতা না পাওয়ায় আসামিদের খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তাদের খালাস দেন।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। ওই মিছিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে মানহানিকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার দেড় মাস পর ১৪ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ জেলা শাখার সদস্য সচিব জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় ১১ আইনজীবীকে আসামি করে মামলা করেন।
এই মামলায় দীর্ঘ ২ মাসের অধিক সময় কারাভোগ করেন অ্যাড. উসমান গনি মল্লিক মাখন ও অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন। দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন, যেখানে এই মামলার অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যে কারণে আদালত আসামিদের খালাস প্রদান করেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুল হক বলেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা। একটি রাজনৈতিক স্লোগানকে কেন্দ্র করে জেলা আইনজীবী সমিতির ১৫০ বছরের ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করে একটি মহল। এই মিথ্যা মামলায় আমাদের দুই সহযোদ্ধা দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় কারাভোগ করেছেন। আজকে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।