ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডি মহাপরিদর্শক পল মার্টিন বরখাস্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেছে: শশী থারুর বিনামূল্যে ক্যান্সার ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগামী অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যা মামলার রায়: আসিফ নজরুল পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমার সীমাহীন দুর্নীতি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প: পিডি উজ্জ্বল মল্লিক ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্লট হাতিয়ে নিয়েছে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নির্বাচনে নির্বাচিত সভাপতি সম্পাদকসহ সকলের শপদ ও দায়িত্ব গ্রহণ গাজীপুর কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, তদন্ত কমিটি গঠন ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখার ওপর যশোরে বিএনপির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কমলগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত
আল জাজিরার প্রতিবেদন

আওয়ামী লীগের পক্ষে কি আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব!

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। তার হত্যার পর দেশব্যাপী শুরু হয় গণঅভ্যুত্থান, যা শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের পতনে পৌঁছায়। ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া এই অভ্যুত্থান সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবের রূপ নেয়। ১ জুলাই শুরু হওয়া এই আন্দোলন ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে প্রায় ৮৩৪ জন নিহত ও ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।

এই আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং দলটি এখন গভীর সংকটে। আওয়ামী লীগে তীব্র অভ্যন্তরীণ বিভাজন দেখা দিয়েছে। একদিকে প্রবীণ নেতারা ক্ষমাশীল না হওয়ার পক্ষে, অন্যদিকে মধ্যম স্তরের নেতাকর্মীরা দলটিকে পুনর্গঠনের কথা বলছেন। তাদের মতে, দলটি ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে তার ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে, আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমূল কর্মী নিজেদের অনিরাপত্তার মধ্যে আবদ্ধ অনুভব করছেন। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় আত্মগোপনে আছেন। কিছু কর্মী তাদের অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ এখন আর জনগণের সংগঠন নেই, বরং শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তাদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের পর থেকেই দলটি সুবিধাবাদী সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে, যার ফলে দলের ভিতর থেকে এক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগ এখনো নিজেদের শাসনকালীন অত্যাচারের জন্য কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, বরং যুবলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, দলের নেতারা এর জন্য ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অনুশীলনের অভাবে আওয়ামী লীগ একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা এখনও নিজেদের ভুলের জন্য কোনো ধরনের আত্মসমালোচনা বা অপরাধ স্বীকার করছেন না, যা তাদের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

তবে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগকে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না এবং সেই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যমুনা রেলওয়ে সেতুতে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

Verified by MonsterInsights

আল জাজিরার প্রতিবেদন

আওয়ামী লীগের পক্ষে কি আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব!

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। তার হত্যার পর দেশব্যাপী শুরু হয় গণঅভ্যুত্থান, যা শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের পতনে পৌঁছায়। ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া এই অভ্যুত্থান সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবের রূপ নেয়। ১ জুলাই শুরু হওয়া এই আন্দোলন ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে প্রায় ৮৩৪ জন নিহত ও ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।

এই আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং দলটি এখন গভীর সংকটে। আওয়ামী লীগে তীব্র অভ্যন্তরীণ বিভাজন দেখা দিয়েছে। একদিকে প্রবীণ নেতারা ক্ষমাশীল না হওয়ার পক্ষে, অন্যদিকে মধ্যম স্তরের নেতাকর্মীরা দলটিকে পুনর্গঠনের কথা বলছেন। তাদের মতে, দলটি ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে তার ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে, আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমূল কর্মী নিজেদের অনিরাপত্তার মধ্যে আবদ্ধ অনুভব করছেন। অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় আত্মগোপনে আছেন। কিছু কর্মী তাদের অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ এখন আর জনগণের সংগঠন নেই, বরং শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তাদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের পর থেকেই দলটি সুবিধাবাদী সাংসদদের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে, যার ফলে দলের ভিতর থেকে এক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগ এখনো নিজেদের শাসনকালীন অত্যাচারের জন্য কোনো ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, বরং যুবলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, দলের নেতারা এর জন্য ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অনুশীলনের অভাবে আওয়ামী লীগ একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীরা এখনও নিজেদের ভুলের জন্য কোনো ধরনের আত্মসমালোচনা বা অপরাধ স্বীকার করছেন না, যা তাদের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

তবে, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগকে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না এবং সেই নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে।