ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

২০০১ সালের পরে দেশে যা নির্বাচন হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে: এম নাসের রহমান

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, “আমরা দেশে লাস্ট নির্বাচন দেখছি ২০০১-এ। এরপরে তো আর দেশে দৃশ্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যাই হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। তাই জুলাই বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়ে এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনটা ২০০১ সালের মতো জেনুইন নির্বাচন হবে বলে আশা করে।”

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসের রহমান বলেন, “বিগত সকল নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী ছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ এখন পালিয়ে গিয়ে গর্তে ঢুকেছে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নতুন প্লেয়ারদের সঙ্গে। প্লেয়ার পাল্টে গেছে, আমরা প্লেয়ার ঠিক আছি। তবে আমাদের অপনেন্ট প্লেয়ার একটু পাল্টে গেছে। নতুন প্লেয়ারা খুব ঘুরাঘুরি করছে, কিন্তু সারাদেশের ন্যায় আমাদের মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর জনগণের পুরোপুরি আস্থা আছে। দলের অবস্থানও শক্তিশালী আছে।”

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলে তাদের ভোটটা কোন দিকে যাবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা (আওয়ামী লীগের ভোটাররা) এখন আশ্রয় খোঁজে কোন দিকে যাবে। তাদের নেত্রীই তো তাদের দলকে মৃত্যুবরণ করিয়ে দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গেছে। এখন তাদের ভোটাররা আশ্রয় খুঁজছে। যদিও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে কিনা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে একটা জরিপ বের হয়েছে, আওয়ামী লীগের ভোট ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট মাত্র। ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট ভোট যদি থেকে থাকে, তাহলে সারাদেশে তাদের সিট পাবে কোথা থেকে?”

বেতরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসী মিসবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ আয়াছ আহমদ।

কাউন্সিল অধিবেশনে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিগণকে সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ বদরুল আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমদ।

পরবর্তীতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। এতে এমদাদ আহমাদ সিরাজ ২৩০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো. শহীদ মিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ১১৭। সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন আতাউর রহমান। কাউন্সিলে মোট ভোট ছিল ৪৫৯টি। কাস্ট হয়েছে ৩৪৮টি। এর মধ্যে বাতিল ব্যালট ১টি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

২০০১ সালের পরে দেশে যা নির্বাচন হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে: এম নাসের রহমান

আপডেট সময় ০৮:৩৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, “আমরা দেশে লাস্ট নির্বাচন দেখছি ২০০১-এ। এরপরে তো আর দেশে দৃশ্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যাই হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। তাই জুলাই বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়ে এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনটা ২০০১ সালের মতো জেনুইন নির্বাচন হবে বলে আশা করে।”

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাসের রহমান বলেন, “বিগত সকল নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী ছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ এখন পালিয়ে গিয়ে গর্তে ঢুকেছে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নতুন প্লেয়ারদের সঙ্গে। প্লেয়ার পাল্টে গেছে, আমরা প্লেয়ার ঠিক আছি। তবে আমাদের অপনেন্ট প্লেয়ার একটু পাল্টে গেছে। নতুন প্লেয়ারা খুব ঘুরাঘুরি করছে, কিন্তু সারাদেশের ন্যায় আমাদের মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর জনগণের পুরোপুরি আস্থা আছে। দলের অবস্থানও শক্তিশালী আছে।”

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলে তাদের ভোটটা কোন দিকে যাবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা (আওয়ামী লীগের ভোটাররা) এখন আশ্রয় খোঁজে কোন দিকে যাবে। তাদের নেত্রীই তো তাদের দলকে মৃত্যুবরণ করিয়ে দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গেছে। এখন তাদের ভোটাররা আশ্রয় খুঁজছে। যদিও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে কিনা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে একটা জরিপ বের হয়েছে, আওয়ামী লীগের ভোট ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট মাত্র। ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট ভোট যদি থেকে থাকে, তাহলে সারাদেশে তাদের সিট পাবে কোথা থেকে?”

বেতরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসী মিসবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ আয়াছ আহমদ।

কাউন্সিল অধিবেশনে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিগণকে সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ বদরুল আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমদ।

পরবর্তীতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। এতে এমদাদ আহমাদ সিরাজ ২৩০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো. শহীদ মিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ১১৭। সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন আতাউর রহমান। কাউন্সিলে মোট ভোট ছিল ৪৫৯টি। কাস্ট হয়েছে ৩৪৮টি। এর মধ্যে বাতিল ব্যালট ১টি।