বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, “আমরা দেশে লাস্ট নির্বাচন দেখছি ২০০১-এ। এরপরে তো আর দেশে দৃশ্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন যাই হয়েছে, তা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। তাই জুলাই বিপ্লবের পর নতুন স্বাধীনতা পেয়ে এদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনটা ২০০১ সালের মতো জেনুইন নির্বাচন হবে বলে আশা করে।”
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসের রহমান বলেন, “বিগত সকল নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্ধী ছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ এখন পালিয়ে গিয়ে গর্তে ঢুকেছে। তাই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নতুন প্লেয়ারদের সঙ্গে। প্লেয়ার পাল্টে গেছে, আমরা প্লেয়ার ঠিক আছি। তবে আমাদের অপনেন্ট প্লেয়ার একটু পাল্টে গেছে। নতুন প্লেয়ারা খুব ঘুরাঘুরি করছে, কিন্তু সারাদেশের ন্যায় আমাদের মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপর জনগণের পুরোপুরি আস্থা আছে। দলের অবস্থানও শক্তিশালী আছে।”
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলে তাদের ভোটটা কোন দিকে যাবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা (আওয়ামী লীগের ভোটাররা) এখন আশ্রয় খোঁজে কোন দিকে যাবে। তাদের নেত্রীই তো তাদের দলকে মৃত্যুবরণ করিয়ে দেশ ছেড়ে ওপারে পালিয়ে গেছে। এখন তাদের ভোটাররা আশ্রয় খুঁজছে। যদিও নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে কিনা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে একটা জরিপ বের হয়েছে, আওয়ামী লীগের ভোট ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট মাত্র। ১৩ থেকে ১৪ পার্সেন্ট ভোট যদি থেকে থাকে, তাহলে সারাদেশে তাদের সিট পাবে কোথা থেকে?”
বেতরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খলিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসী মিসবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ আয়াছ আহমদ।
কাউন্সিল অধিবেশনে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিগণকে সাথে নিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ বদরুল আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমদ।
পরবর্তীতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়। এতে এমদাদ আহমাদ সিরাজ ২৩০ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো. শহীদ মিয়া। তার প্রাপ্ত ভোট ১১৭। সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন আতাউর রহমান। কাউন্সিলে মোট ভোট ছিল ৪৫৯টি। কাস্ট হয়েছে ৩৪৮টি। এর মধ্যে বাতিল ব্যালট ১টি।