ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

খুলনা জোনাল সেলেটমেন্ট অফিসে যাঁচ কাজের নামে ঘুষের হাট বসিয়েছে অফিসার আব্দুর রশিদ ও (বড় বাবু) সুজিত রায়

বা দিক থেকে আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়

খুলনা জোনাল সেটেলম্যান্ট অফিসে যাঁচ কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

খুলনা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদ ঐ অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় এবং সার্ভেয়ার রসুল আযম এমন কার্যক্রম করছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার কাজের দায়িত্ব থাকায় এই সুযোগে অফিসার আব্দুর রশিদ, সার্ভেয়ার রসুল আযম ও পিওন আব্দুর রহিম সুবিধা নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ খুলনার জোলাল অফিসে থাকায় সাধারণ ভূমি মালিকগণ ১২০ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করে যায়। দূরের সাধারণ ভূমি মালিক হওয়ায় তাদেরকে ছোট ছোট চিরকুট দিয়ে অফিসে ডেকে ভূমিতে নানান সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে চলেছে।

এই বিষয়ে সাধারণ ভূমি মালিকগণ অভিযোগ করে বলেন, অফিসার আব্দর রশিদের একান্ত ব্যক্তি আব্দুস সামাদের মাধ্যমে ঘুষের ব্যাপারটা কালেকশন হয়। বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদকে দিয়ে সাধারণ ভূমি মালিকদেরকে কাজের বিনিময়ে টাকার প্রস্তাব করে তারা।

মুন্সিগঞ্জ মৌজার আফসার আলী গাজীর পুত্র মাজেদ বলেন, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডাক হওয়ায় ২০৭ ডিপির খতিয়ানের হাল ৩০৫৭. ৩০৫৮ হাল দাগের বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে দালাল সামাদ।

ঐ মৌজার মহাদেব আউলিয়ার পুত্র বিমল চন্দ্র আউলিয়াকে গত ০৫.০২.২৫ তারিখে কাজ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে ৩০ হাজার দাবী করে পিওন আব্দুর রহিম। যাহার ডিপি খতিয়ান ২৩৪৭ হাল দাগ ২২৫৩।

একই মৌজার মালেক গাজীর পুত্র নুরুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, জমি থাকলে যে জ্বালা এরচেয়ে জমি না থাকাই আরো ভালো ছিল, এই যে খুলনায় এসে নানান তালবাহানা। শুধুই টাকার খেলা। এই দূরে এসে কিছু বলতে পারি না, শুধু মুখ বুজে ব্যথা সহ্য করতে হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সামাদের মাধ্যমে সন্ধ্যার পর ঘুষের টাকা ঐ অফিসার সুজিত রায়, আব্দুর রশিদ এবং পিওন আব্দুর রহিম এর মধ্যে ভাগ বন্টন হয়।

এ বিষয়ে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদকে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে, অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষিক সুজিত রায়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস হতে দূরবর্তী সাধারণ ভূমি মালিকগণ একদিকে পথের দুরত্ব, অপরদিকে নানান হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে চায়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ যৌথবাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছে মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

খুলনা জোনাল সেলেটমেন্ট অফিসে যাঁচ কাজের নামে ঘুষের হাট বসিয়েছে অফিসার আব্দুর রশিদ ও (বড় বাবু) সুজিত রায়

আপডেট সময় ১০:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনা জোনাল সেটেলম্যান্ট অফিসে যাঁচ কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।

খুলনা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদ ঐ অফিসের বড় বাবু সুজিত রায় এবং সার্ভেয়ার রসুল আযম এমন কার্যক্রম করছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার কাজের দায়িত্ব থাকায় এই সুযোগে অফিসার আব্দুর রশিদ, সার্ভেয়ার রসুল আযম ও পিওন আব্দুর রহিম সুবিধা নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ খুলনার জোলাল অফিসে থাকায় সাধারণ ভূমি মালিকগণ ১২০ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করে যায়। দূরের সাধারণ ভূমি মালিক হওয়ায় তাদেরকে ছোট ছোট চিরকুট দিয়ে অফিসে ডেকে ভূমিতে নানান সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে চলেছে।

এই বিষয়ে সাধারণ ভূমি মালিকগণ অভিযোগ করে বলেন, অফিসার আব্দর রশিদের একান্ত ব্যক্তি আব্দুস সামাদের মাধ্যমে ঘুষের ব্যাপারটা কালেকশন হয়। বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদকে দিয়ে সাধারণ ভূমি মালিকদেরকে কাজের বিনিময়ে টাকার প্রস্তাব করে তারা।

মুন্সিগঞ্জ মৌজার আফসার আলী গাজীর পুত্র মাজেদ বলেন, গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডাক হওয়ায় ২০৭ ডিপির খতিয়ানের হাল ৩০৫৭. ৩০৫৮ হাল দাগের বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে দালাল সামাদ।

ঐ মৌজার মহাদেব আউলিয়ার পুত্র বিমল চন্দ্র আউলিয়াকে গত ০৫.০২.২৫ তারিখে কাজ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে ৩০ হাজার দাবী করে পিওন আব্দুর রহিম। যাহার ডিপি খতিয়ান ২৩৪৭ হাল দাগ ২২৫৩।

একই মৌজার মালেক গাজীর পুত্র নুরুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, জমি থাকলে যে জ্বালা এরচেয়ে জমি না থাকাই আরো ভালো ছিল, এই যে খুলনায় এসে নানান তালবাহানা। শুধুই টাকার খেলা। এই দূরে এসে কিছু বলতে পারি না, শুধু মুখ বুজে ব্যথা সহ্য করতে হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সামাদের মাধ্যমে সন্ধ্যার পর ঘুষের টাকা ঐ অফিসার সুজিত রায়, আব্দুর রশিদ এবং পিওন আব্দুর রহিম এর মধ্যে ভাগ বন্টন হয়।

এ বিষয়ে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদকে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এদিকে, অফিস সহকারী ও কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষিক সুজিত রায়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস হতে দূরবর্তী সাধারণ ভূমি মালিকগণ একদিকে পথের দুরত্ব, অপরদিকে নানান হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে চায়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ যৌথবাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছে মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণ।