জয়পুরহাটের কালাইয়ে আত্মগোপনে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও কালাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় উৎসুক জনতা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ের বিয়ালা গ্রামে শশুর ফজলে এলাহি তোতার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন। রাতেই এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদ নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কালাই উপজেলা শাখার আহবায়ক। এছাড়াও তিনি কালাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৌহিদ কালাই পৌরসভার পূর্বপাড়া মহল্লার মোতালেব হোসেন এর ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা দাদে এলাহী লাবলু বলেন, তৌফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগের আহবায়ক হয়ে ভোট ডাকাতি করে কালাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছিলেন। টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে স্থানীয় একাধিক পারিবারিক দ্বন্দ্ব, ধর্ষণ মামলার বিচার করে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেছে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় স্বৈরাচারের এই দোসর ক্ষমতার দাম্ভিকতায় মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, তৌফিকুল ইসলাম তৌহিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় ও ডিবির কাছে পৃথক পৃথক মামলা রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।