ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণির বিরুদ্ধে বোটক্লাব ভাঙচুর, ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, হত্যাচেষ্টা এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মামলার চার্জগঠন শুনানিতে পরী মণি হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল, তবে তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০২২ সালের ৬ জুলাই, বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। এ মামলায় পরী মণির সঙ্গে তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি এবং জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাত ১২টার পর পরী মণি এবং তার সহযোগীরা সাভারের বোটক্লাবে অ্যালকোহল পান করেছিলেন। এরপরে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করেন এবং মদের বোতল বিনামূল্যে দিতে বললে তিনি তা না দেওয়ায় ক্লাবটি ভাঙচুর করেন। এরপর পরী মণি নাসির উদ্দিনের দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে দেয়ার জন্য চাপ দেন।
বাদী নাসির উদ্দিন এতে রাজি না হলে পরী মণি তাকে গালমন্দ করেন এবং তাদের মধ্যে এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরী মণি একপর্যায়ে বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস এবং মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে নাসির উদ্দিন মাথা এবং বুকে আঘাত পান।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পরী মণি নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তার বন্ধু অমির বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। পরী মণির বিরুদ্ধে মাদক মামলাও করা হয়েছে।