ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলে এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, যাদের অনেকেই গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
শুধু নিহতের সংখ্যা নয়, ইসরায়েলি বাহিনী গ্রেপ্তারও করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্কুল প্রশাসককে। পশ্চিম তীরে অন্তত ৫৩৮ জন শিক্ষার্থী এবং ১৫৮ জন শিক্ষক ও প্রশাসককে আটক করা হয়েছে। গাজার বিষয়ে পরিসংখ্যানটি অস্পষ্ট, তবে সেখানেও অনেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ইসরায়েলি বাহিনী ৪২৫টি সরকারি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছে। জাতিসংঘের অধিভুক্ত ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে এবং তাদের ভবনগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেউ কেউ তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীও সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। গত ১৭ ডিসেম্বর, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে এক যুদ্ধে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন কোম্পানি কমান্ডার মোশিকো ম্যাক্সিম রোজেনওয়াল্ড (৩৫) ছিলেন। এতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ৮১৭ জনে পৌঁছেছে।
এই পরিস্থিতিতে, একদিকে ফিলিস্তিনে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের জন্য এক ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি করছে।