ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সাংবাদিক নুরুল কবির ও প্রফেসর আসিফ মিজানের সৌজন্য সাক্ষাৎ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কমলগঞ্জে ভারতীয় শাড়িসহ সিএনজি আটক দাকোপে ইঁদুর দমন অভিযানে আলোচনা সভা বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবার বেড়ে গেল, মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সের আগমন, হাথুরুসিংহের বিদায় নতুন আইপ্যাড মিনি বাজারে আনার ঘোষণা দিল অ্যাপল ৮ টি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে করার দাবি করলেন জয়নুল আবদীন ফারুক
সংবাদ শিরোনামঃ
মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি যশোরে পশুর হাটে চলছে লুটপাট, ইউএনও-র নামে মিথ্যা বিজ্ঞাপন তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাবনায় সাবেক ২ মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা তার মালিকানা নগদ ডিস্ট্রিবিউশন এফ আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে

২২ বছর পর আবারও নিষিদ্ধ পলিথিন, কিন্তু ব্যবহার থামছে না!

২০০২ সালে সরকার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। দেশের বাজারগুলো এখনো পলিথিনের শপিং ব্যাগে সয়লাব হয়ে রয়েছে, যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য এক মারাত্মক সংকটের সৃষ্টি করছে।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। পুলিশ ও প্রশাসনের নজরের সামনেই অবাধে চলছে পলিথিন উৎপাদন ও বিপণন। পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, যেখানে মুদি দোকান, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, তরকারি এবং ফল বিক্রি করতে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং ফলন কমে যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশে অবৈধ পলিথিন তৈরির ৩,০০০-এরও বেশি কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে। এসব ব্যাগ দীর্ঘদিন মাটিতে পচে না, ফলে মাটির গুণাগুণ কমে যায় এবং জলাভূমি দূষিত হচ্ছে। নদী ও জলাশয়ে পলিথিনের স্তর জমে যাওয়ায় মিঠা পানির মাছের উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে।

পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন যে, পলিথিনের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামই এর প্রধান কারণ। তাই পরিবেশের এই বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কঠোর নজরদারি এবং সমন্বিত তৎপরতা ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব নয়।

এছাড়া, দ্রুতপচনশীল কাগজের ঠোঙা এবং চটের ব্যাগের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে, যাতে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে এটি সফল করতে হলে জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অপরিহার্য। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে, তবেই পলিথিনের সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নুরুল কবির ও প্রফেসর আসিফ মিজানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২২ বছর পর আবারও নিষিদ্ধ পলিথিন, কিন্তু ব্যবহার থামছে না!

আপডেট সময় ১১:২২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

২০০২ সালে সরকার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। দেশের বাজারগুলো এখনো পলিথিনের শপিং ব্যাগে সয়লাব হয়ে রয়েছে, যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য এক মারাত্মক সংকটের সৃষ্টি করছে।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। পুলিশ ও প্রশাসনের নজরের সামনেই অবাধে চলছে পলিথিন উৎপাদন ও বিপণন। পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে, যেখানে মুদি দোকান, মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, তরকারি এবং ফল বিক্রি করতে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং ফলন কমে যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশে অবৈধ পলিথিন তৈরির ৩,০০০-এরও বেশি কারখানা রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে। এসব ব্যাগ দীর্ঘদিন মাটিতে পচে না, ফলে মাটির গুণাগুণ কমে যায় এবং জলাভূমি দূষিত হচ্ছে। নদী ও জলাশয়ে পলিথিনের স্তর জমে যাওয়ায় মিঠা পানির মাছের উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে।

পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন যে, পলিথিনের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামই এর প্রধান কারণ। তাই পরিবেশের এই বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কঠোর নজরদারি এবং সমন্বিত তৎপরতা ছাড়া পরিবেশের ক্ষতি রোধ করা সম্ভব নয়।

এছাড়া, দ্রুতপচনশীল কাগজের ঠোঙা এবং চটের ব্যাগের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে, যাতে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে এটি সফল করতে হলে জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অপরিহার্য। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে, তবেই পলিথিনের সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।