ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সাংবাদিক নুরুল কবির ও প্রফেসর আসিফ মিজানের সৌজন্য সাক্ষাৎ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কমলগঞ্জে ভারতীয় শাড়িসহ সিএনজি আটক দাকোপে ইঁদুর দমন অভিযানে আলোচনা সভা বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবার বেড়ে গেল, মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তা বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে ফিল সিমন্সের আগমন, হাথুরুসিংহের বিদায় নতুন আইপ্যাড মিনি বাজারে আনার ঘোষণা দিল অ্যাপল ৮ টি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির শেখ হাসিনার নাম সম্বলিত প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে করার দাবি করলেন জয়নুল আবদীন ফারুক
সংবাদ শিরোনামঃ
মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি যশোরে পশুর হাটে চলছে লুটপাট, ইউএনও-র নামে মিথ্যা বিজ্ঞাপন তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাবনায় সাবেক ২ মেয়র ও কাউন্সিলরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের দুর্নীতির শত শত কোটি টাকা তার মালিকানা নগদ ডিস্ট্রিবিউশন এফ আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে

তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে

  • জগলুল কবির নাসির
  • আপডেট সময় ০১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

ওয়াসা

৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম আহমেদ খান। সে সময় গা ঢাকা দেন তার সহযোগীরাও। এরপর থেকে তারা নিয়মিত অফিস করছেন এবং বীরদর্পে সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রকৌশলী তাকসিমের দোসররা দুর্নীতি, চাটুকারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপছন্দের পাত্র। তারা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার অনেক ক্ষতি করেছেন।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ে ঢাকা ওয়াসায় প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ঘনিষ্ঠজন ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট নামধারী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সালাম বেপারী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ওয়াজ উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম আনোয়ার সাত্তার, উপ-প্রধান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শিহাবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এরশাদুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী রামেশ্বর দাস, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী জুনায়েদ আবু ইয়াসির, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী এমরানুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মুক্তা সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবিদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন চন্দন বর্মন, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিক আহমেদ খান, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

বিগত প্রায় পনের বছরে ঢাকা ওয়াসার বিভিন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লোপাটের ঘটনা ঘটেছে যার সাথে এরা সকলে জড়িত ছিলো। সীমাহীন দূর্নীতির কারণে জনরোষে পদত্যাগ করেছেন ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

তাঁর সকল অপকর্মের সহযোগী ছিলো উপরিল্লিখিত সিন্ডিকেট সদস্যগণ। এখনো তার দুর্নীতির শীর্ষ দোসররা বহালতবিয়তে থেকে দাপট দেখাচ্ছেন। প্রকৌশলী তাকসিমের অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর ঢাকা ওয়াসার নির্বাহীর দায়িত্বের পাশাপাশি সংস্থার সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন প্রকৌশলী শারমিন হক আমির। প্রকৌশলী হওয়া সত্ত্বেও সংস্থার ভিন্ন ধরনের দু’টি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডির দুর্নীতি ও অনিয়মের সহযোগী হওয়ায় তাদের সেসব পদে বহাল রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে সংস্থায় অসন্তোষ বাড়ছে।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার জোন পর্যায়েও সাবেক এমডির ঘনিষ্ঠজন ও দোসররা বহালতবিয়তে রয়েছেন। আগে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সুপারিশ এনে দায়িত্ব নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ সময়কে জানান, আমার বিরুদ্বে যা বলা হচ্ছে সব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। একই বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম খান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মনির পাটোয়ারীর বলেন বিগত দেড় দশকে ঢাকা ওয়াসার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী কর্মকর্তা এবং সাধারন কর্মচারীদের উপর তাসকিন সিন্ডিকেটের নির্যাতন ও বৈষম্য ছিলো অমানবিক।

উলেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুর রহমানকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সাময়িকভাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করে। ঢাকা ওয়াসার বৈষম্যের স্বীকার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আশা করছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়ন করবে এবং ঢাকা ওয়াসাকে একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রুপ দিবেন এবং দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নুরুল কবির ও প্রফেসর আসিফ মিজানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

তাকসিম সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগীরা এখনো বহাল তবিয়তে

আপডেট সময় ০১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পালিয়ে যান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম আহমেদ খান। সে সময় গা ঢাকা দেন তার সহযোগীরাও। এরপর থেকে তারা নিয়মিত অফিস করছেন এবং বীরদর্পে সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রকৌশলী তাকসিমের দোসররা দুর্নীতি, চাটুকারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপছন্দের পাত্র। তারা এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার অনেক ক্ষতি করেছেন।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ে ঢাকা ওয়াসায় প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ঘনিষ্ঠজন ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট নামধারী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুস সালাম বেপারী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ওয়াজ উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক এস এম আনোয়ার সাত্তার, উপ-প্রধান প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শিহাবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এরশাদুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী রামেশ্বর দাস, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী জুনায়েদ আবু ইয়াসির, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী এমরানুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মুক্তা সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবিদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন চন্দন বর্মন, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিক আহমেদ খান, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

বিগত প্রায় পনের বছরে ঢাকা ওয়াসার বিভিন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লোপাটের ঘটনা ঘটেছে যার সাথে এরা সকলে জড়িত ছিলো। সীমাহীন দূর্নীতির কারণে জনরোষে পদত্যাগ করেছেন ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

তাঁর সকল অপকর্মের সহযোগী ছিলো উপরিল্লিখিত সিন্ডিকেট সদস্যগণ। এখনো তার দুর্নীতির শীর্ষ দোসররা বহালতবিয়তে থেকে দাপট দেখাচ্ছেন। প্রকৌশলী তাকসিমের অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর ঢাকা ওয়াসার নির্বাহীর দায়িত্বের পাশাপাশি সংস্থার সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন প্রকৌশলী শারমিন হক আমির। প্রকৌশলী হওয়া সত্ত্বেও সংস্থার ভিন্ন ধরনের দু’টি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডির দুর্নীতি ও অনিয়মের সহযোগী হওয়ায় তাদের সেসব পদে বহাল রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে সংস্থায় অসন্তোষ বাড়ছে।

ঢাকা ওয়াসা সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার জোন পর্যায়েও সাবেক এমডির ঘনিষ্ঠজন ও দোসররা বহালতবিয়তে রয়েছেন। আগে আওয়ামী লীগ পরিচয়ে বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সুপারিশ এনে দায়িত্ব নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাদেশ সময়কে জানান, আমার বিরুদ্বে যা বলা হচ্ছে সব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। একই বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম খান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মনির পাটোয়ারীর বলেন বিগত দেড় দশকে ঢাকা ওয়াসার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী কর্মকর্তা এবং সাধারন কর্মচারীদের উপর তাসকিন সিন্ডিকেটের নির্যাতন ও বৈষম্য ছিলো অমানবিক।

উলেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুর রহমানকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সাময়িকভাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করে। ঢাকা ওয়াসার বৈষম্যের স্বীকার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আশা করছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়ন করবে এবং ঢাকা ওয়াসাকে একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রুপ দিবেন এবং দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।