ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিৎ: ড. ইউনূস মুন্নী সাহার ১৩৪ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন ৬৫ পণ্যে বাড়ানো হচ্ছে ভ্যাট নাগরপুরে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গোমস্তাপুরে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ কমলগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত ফিলিস্তিনে আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ লালমনিরহাট সীমান্তে বিজিবির বাধায় বিএসএফের অবৈধ কাজ বন্ধ ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দামে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা নতুন বছরে নতুন বই না পেয়ে হতাশ ময়মনসিংহের লাখ লাখ শিক্ষার্থী শ্রীমঙ্গলে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বিপিএলের টিকিট না পেয়ে তুলকালাম

যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, যিনি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে টানা দুবার নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আপসানা বেগম বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য নয়, আমাদের জানামতে তার আরও বিপুল সম্পদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। আমার নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই তার ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে নজর দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” আপসানা বেগম জানান, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি তদন্তের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে চিঠি লিখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পদ পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে আপসানা বেগম বলেন, “মানি লন্ডারিং এবং সম্পত্তি চুরি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, তারা চাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিকভাবে উন্নতি করুক।”

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ষষ্ঠ অবস্থানে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাসি হিসেবে কাজ করতে পারে।

এছাড়া, তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। “যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে অবগত ছিল এবং আমার মোশন নিয়ে সংসদে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তরুণ প্রজন্ম তাদের অধিকার ও স্বচ্ছলতার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে”— যোগ করেন আপসানা।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে থাকা বিষয়গুলো এবং আপসানা বেগমের উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পরিবর্তিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে আগামী দিনগুলিতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠনে সহায়তা করবে।

এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার কতটা গুরুত্বের সঙ্গে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবৈধ সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাজ্যে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান

আপডেট সময় ১২:০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদের সন্ধান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম, যিনি পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে টানা দুবার নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আপসানা বেগম বলেন, “সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য নয়, আমাদের জানামতে তার আরও বিপুল সম্পদ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। আমার নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই তার ৭২টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে নজর দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” আপসানা বেগম জানান, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি তদন্তের জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে চিঠি লিখেছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পদ পাচার করার অভিযোগের বিষয়ে আপসানা বেগম বলেন, “মানি লন্ডারিং এবং সম্পত্তি চুরি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি, তারা চাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিকভাবে উন্নতি করুক।”

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা ষষ্ঠ অবস্থানে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লিগ্যাসি হিসেবে কাজ করতে পারে।

এছাড়া, তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। “যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে অবগত ছিল এবং আমার মোশন নিয়ে সংসদে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তরুণ প্রজন্ম তাদের অধিকার ও স্বচ্ছলতার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে”— যোগ করেন আপসানা।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে থাকা বিষয়গুলো এবং আপসানা বেগমের উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে পরিবর্তিত করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে আগামী দিনগুলিতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গঠনে সহায়তা করবে।

এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সরকার কতটা গুরুত্বের সঙ্গে এই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবৈধ সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।