ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সংবাদ শিরোনামঃ
সাবেক মেয়র তাপসকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে ডিবি হারুন ও তার পরিবারকে দুদকে তলব দুর্নীতির অভিযোগে দুই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যবিপ্রবিরএডি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লন্ডনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাইফুজ্জামান রাজস্ব পরিদর্শক খায়রুল হাসান নিপু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেয়র আতিকের এপিএস ফরিদের ভাই ফারুকের বিরুদ্ধে হুন্ডি ও অর্থপাচারের অভিযোগ মৌলভীবাজারের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে বিল উত্তোলন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দুদকের জালে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম অবশেষে দুর্নীতিপরায়ন স্থানীয় সরকার সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান ওএসডি

১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিভিন্ন অভিযোগের মুখে ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির এই আমন্ত্রণ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম, আওয়ামীপন্থি বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তারা নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পোস্টে তারা উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।”

পোস্টের মন্তব্যে হাসনাত আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের হাতে হাজার হাজার ছাত্র ও নাগরিকের রক্ত লেগে আছে, তাদের কীভাবে দুঃসাহস হয় হাইকোর্টে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার?” অপরদিকে, সারজিস আলম মন্তব্য করেন, “এই খুনি হাসিনার দালালদের কারণে রাষ্ট্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাদের উৎখাত না করা পর্যন্ত দেশ উন্নতির পথে এগোতে পারবে না।”

একই দিনে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এবং ড. আব্দুর রাজ্জাকের রিমান্ড শুনানির সময় এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল চলাকালীন আইনজীবীরা ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যানী পূজা

১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির

আপডেট সময় ০১:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিভিন্ন অভিযোগের মুখে ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্ত বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির এই আমন্ত্রণ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম, আওয়ামীপন্থি বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তারা নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। পোস্টে তারা উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি।”

পোস্টের মন্তব্যে হাসনাত আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের হাতে হাজার হাজার ছাত্র ও নাগরিকের রক্ত লেগে আছে, তাদের কীভাবে দুঃসাহস হয় হাইকোর্টে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার?” অপরদিকে, সারজিস আলম মন্তব্য করেন, “এই খুনি হাসিনার দালালদের কারণে রাষ্ট্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। তাদের উৎখাত না করা পর্যন্ত দেশ উন্নতির পথে এগোতে পারবে না।”

একই দিনে, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর), আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এবং ড. আব্দুর রাজ্জাকের রিমান্ড শুনানির সময় এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল চলাকালীন আইনজীবীরা ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন। এই ঘটনার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।