বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তার দিকে নজর রেখে কথা বলবে।
রিজভী রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার যদি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কথা বলবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি বন্ধ করার বিষয়ে রিজভী বলেন, “রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন, পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকে, তবে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হবে না এবং দাম কমে আসবে।” তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শাক-সবজি নিজেরা কিনে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করছে এবং এটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য।
রিজভী আরও বলেন, “যখন গণতন্ত্র ছিল না, তখন আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার লাল চক্ষু উপেক্ষা করে তার প্রশাসনের সামনে সাহস নিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে।” তিনি বলেন, দেশের কৃষকদের সহায়তা এবং কৃষি উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ছেলে-মেয়েরা যদি কৃষকের জন্য কাজ করে, তবে কৃষির উন্নয়ন দ্রুত হবে।
রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে এক উপদেষ্টার বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, এটি “অহংবোধের অভিব্যক্তি” এবং তিনি সাবধান করে বলেন, “এটা হতে পারে না।” তিনি বিশেষ করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন এবং বলেন, “তাদের সংস্কারের ফলে হাসিনার মতো কর্তৃত্ববাদী শাসক ক্ষমতায় এসেছে।”
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলক, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।