বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর সাহিত্য চর্চা ও শৈল্পিক সত্ত্বা বিকশিত করার অন্যতম সংগঠন ‘পরিবর্তন’ এর সাহিত্য ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন, নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
“সময় এসেছে নতুন কিছু করার, সময় এখন বদলে যাওয়ার” স্লোগানকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠন ৯ বছরের পথচলার ৯ম সংখ্যা (উইন্টার’২৩) এর মোড়ক উন্মোচন করল। এর আগে সংগঠনটি সফলতার সাথে ৮টি সংখ্যা বের করতে সক্ষম হয়।
সাহিত্যপ্রেমী ও লেখকদের জন্য উন্মুক্ত পরিবর্তন সংগঠনের মোড়ক উন্মোচন, নবীন বরণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বশেমুরকৃবি’র প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ। ‘পরিবর্তন’ এর অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবর্তনের ৯ম সংখ্যার সম্পাদক মো. মামুন মৃধা, নির্বাহী সম্পাদক আরজুমান জাহান দ্রুতিসহ নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পরিবর্তনের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সদস্যবৃন্দ।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরিবর্তনের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, মাত্র ৭ জন মিলে পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হলেও এটি আজ সৃষ্টিশীলতাকে ফুটিয়ে তোলার অনেক বড় প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। পরিবর্তন কেবল একটি নাম নয় বরং একটি বিরাট ইনিশিয়েটিভ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পরে পরিবর্তনের ৯ম সংখ্যার শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং পরিবর্তনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্যবৃন্দ। এ সময় বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর পরিবর্তনের নবীনদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
উপাচার্য বলেন, প্রতিটি মানুষের মননশীল মানবিক মানুুষ হতে হলে নিজেদের পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।
পরিবর্তন একটি কার্যকর সংগঠন উল্লেখ করে উপাচার্য আরো বলেন, পরিবর্তনের পরিক্রমায় বশেমুরকৃবি একদিন বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় স্থান পাবে। এক্ষেত্রে কৃষি বিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানভিত্তিক সাহিত্য চর্চার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান উপাচার্য।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য চর্চার একমাত্র সংগঠন পরিবর্তন তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সাহিত্যকর্ম সৃষ্টির পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণ, চিঠি উৎসবসহ নানামুখী মানবিক কার্যক্রমে নিজেদের জড়িত রেখে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।