ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পশুর হাটে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও হাটের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ইজারার লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কোটি টাকা লেনদেনে মুক্তাগাছার ত্রিমহোনি নতুন বাজার পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ ওঠে পৌর প্রশাসন ও বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিশনার রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতার টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত নেন।
সর্বোচ্চ দাতা হিসেবে ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৩ টাকায় হাট পাওয়ায় মেসার্স শাহীন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর শাহীন আলম ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এরই জেরে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে পশু কেনা-বেচার সময় স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০-১৫ জন হামলা করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং হাট পরিচালনা না করার জন্য হুমকি দেয়।
হাটের ইজারাদার তাওসিফ ইবনে মান্নান বলেন, “গরু ছাগলের হাটটি বেশ কয়েক বছর ধরে পরিচালনা করে আসছি আমরা। এবার ১ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮০ টাকার প্রে-অর্ডার শিডিউলের সঙ্গে যুক্ত করেও জমা দিতে পারিনি। উপজেলা বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান লেবু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, জাহাঙ্গীর আলম সোহেল, শাহীন আলম প্রভাব খাটিয়ে শিডিউল জমা দিতে দেয়নি। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে বিভাগীয় কমিশনার পুনরায় দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে নেতাকর্মী পাঠিয়ে হাটে হামলা করে ৮টি বই ও ক্যাশ কাউন্টার থেকে লক্ষাধিক টাকা লুটে নিয়েছে। আমাদের হুমকি দিয়েছে হাট থেকে যেন চলে আসি। তারা আমাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে এসব করছে। আমরা মূলত ব্যবসায়ী, সবার সাথে মিলেমিশে ব্যবসা করতে চাই।”
এ বিষয়ে শাহীন আলমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বাবুল বলেন, “হাটে ১০-১৫ পোলাপান গিয়ে ঝামেলা করছিল। সিনিয়ররা গিয়ে চড়- থাপ্পড় মেরে নিয়ে আসছে। টাকা ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, “হাটে ছাত্রদল যুবদলের ১০-১৫ জন এসে ঝামেলা করছিল, তারা টাকা নেয়নি। এখন আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”