ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

রাবির ভর্তিচ্ছু অনেকেই পছন্দের কেন্দ্র না পাওয়ায় ভোগান্তি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবার পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের সুবিধার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হলেও কারো কারো জন্য তা ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনে যেখানে কেন্দ্র চয়েস দিয়েছে, সেখানে আসেনি। দূরবর্তী স্থানে কেন্দ্র আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

কথা হয় চাহিদা মতো কেন্দ্র না আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলছেন, রংপুরের শিক্ষার্থীদের এখন চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে, রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের যেতে হবে খুলনা! এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীরা। যাদের আর্থিক সামর্থ্য কম, তাদের অনেকেই হয়তো পরীক্ষা দিতেই পারবে না। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য দূরবর্তী কেন্দ্রে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী শুধুমাত্র এই অব্যবস্থাপনার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যেখানে সুবিধা হওয়ার কথা, সেখানে উল্টো অসুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

স্বজন রায় নামে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমার ভাতিজা সেন্টার দিয়েছিল রংপুরে। কিন্তু তার অ্যাডমিট কার্ডে এসেছে চট্টগ্রাম। ঠাকুরগাঁও থেকে এখন চট্টগ্রাম যাওয়া ভোগান্তির থেকেও বড় কিছু।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমাদের বাড়ি জামালপুর। আমার ছোটো ভাই রাজশাহীতে সেন্টার চয়েস দিয়েছিল। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার সেন্টার উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে শুধুমাত্র বিভাগীয় শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্যা যেটা হয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়ার আসন কম, সেখানে বেশি আবেদন করেছে। আবার যেখানে সিট বেশি, সেখানে কম আবেদন করেছে। তাই মেরিট অনুসারে সিট প্ল্যান করা হয়েছে। ফলে এই সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া এক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া খুবই কঠিন। পরবর্তীতে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হবে।”

সার্বিক ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।”

আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এবছর এ, বি, সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩, ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছে। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন। পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৮টি।

এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

রাবির ভর্তিচ্ছু অনেকেই পছন্দের কেন্দ্র না পাওয়ায় ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৭:২৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবার পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের সুবিধার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হলেও কারো কারো জন্য তা ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনে যেখানে কেন্দ্র চয়েস দিয়েছে, সেখানে আসেনি। দূরবর্তী স্থানে কেন্দ্র আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

কথা হয় চাহিদা মতো কেন্দ্র না আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলছেন, রংপুরের শিক্ষার্থীদের এখন চট্টগ্রাম গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে, রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের যেতে হবে খুলনা! এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীরা। যাদের আর্থিক সামর্থ্য কম, তাদের অনেকেই হয়তো পরীক্ষা দিতেই পারবে না। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য দূরবর্তী কেন্দ্রে যাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী শুধুমাত্র এই অব্যবস্থাপনার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যেখানে সুবিধা হওয়ার কথা, সেখানে উল্টো অসুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

স্বজন রায় নামে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমার ভাতিজা সেন্টার দিয়েছিল রংপুরে। কিন্তু তার অ্যাডমিট কার্ডে এসেছে চট্টগ্রাম। ঠাকুরগাঁও থেকে এখন চট্টগ্রাম যাওয়া ভোগান্তির থেকেও বড় কিছু।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “আমাদের বাড়ি জামালপুর। আমার ছোটো ভাই রাজশাহীতে সেন্টার চয়েস দিয়েছিল। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ডে তার সেন্টার উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রাম।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে শুধুমাত্র বিভাগীয় শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্যা যেটা হয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়ার আসন কম, সেখানে বেশি আবেদন করেছে। আবার যেখানে সিট বেশি, সেখানে কম আবেদন করেছে। তাই মেরিট অনুসারে সিট প্ল্যান করা হয়েছে। ফলে এই সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া এক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া খুবই কঠিন। পরবর্তীতে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করা হবে।”

সার্বিক ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।”

আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এবছর এ, বি, সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩, ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছে। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন। পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে ৮টি।

এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।