ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধ, অতিষ্ঠ শহরবাসী

দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি

ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা পাবনা। ১৮৭৬ সালে পাবনা পৌরসভা স্থাপিত হয়েছে। অথচ প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত সাপ্লাই পানির কারণে অতিষ্ঠ শহরবাসী। দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো, বিশ্রী, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। অস্বাস্থ্যকর এই পানি পেটের পীড়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রকমের পানিবাহিত রোগ ছড়াতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন গবেষক ও সুশীল সমাজ।

টিউবওয়েলবিহীন বাসাবাড়ি ও মেসগুলোতে পানি সংকট আরও চরমে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই পানির এই অবস্থা। পৌর কর ও পানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করেও পৌর কোনো সুবিধা সেভাবে মিলছে না।

এ বিষয়ে শহরের ১০নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, “পানির অপর নাম জীবন। অথচ সেই পানিতেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। দিনে দুই-একবার ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। আমাদের এলাকার টিউবওয়েলের পানিতে প্রচুর আয়রন, তাই আমরা সাপ্লাই পানি ফুটিয়ে খাই। কিন্তু এই পানির যা অবস্থা তাতে আমরা ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি। এর আগে অনেকবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ মাস গেলে পানির বিল সময়মতোই পরিষদ করতে হয় আমাদের।”

শহরের ১১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাটুল বলেন, “দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ছাড়া অন্য সময় পানি ছাড়লেই বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যেই পানি দিয়ে কোনো রকমে টয়লেটের কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যায় না। এই রমজান মাসেও দুর্গন্ধমুক্ত পানি পাচ্ছি না আমরা।”

শহরের ১২নং ওয়ার্ডের শেফা বলেন, “দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পানি ছাড়লেই ময়লা ও বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। বিশেষ করে দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে পানি ছাড়লেই অনেক দূর থেকেও দুর্গন্ধ ভেসে এসে নাকে লাগে। আর শরীরের লাগলে তো কথাই নেই, শরীরও বিশ্রী দুর্গন্ধ হয়ে হয়ে যায়! এই পানি গায়ে লাগাতেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে। কি যে একটা অবস্থা বলার মতো না।”

এ বিষয়ে মুঠোফোনে পাবনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে কল দিয়ে জানতে চাইলে কলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানিতে ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধ, অতিষ্ঠ শহরবাসী

আপডেট সময় ০৮:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জেলা পাবনা। ১৮৭৬ সালে পাবনা পৌরসভা স্থাপিত হয়েছে। অথচ প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পাবনা পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। ময়লা ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত সাপ্লাই পানির কারণে অতিষ্ঠ শহরবাসী। দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো, বিশ্রী, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। অস্বাস্থ্যকর এই পানি পেটের পীড়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রকমের পানিবাহিত রোগ ছড়াতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন গবেষক ও সুশীল সমাজ।

টিউবওয়েলবিহীন বাসাবাড়ি ও মেসগুলোতে পানি সংকট আরও চরমে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই পানির এই অবস্থা। পৌর কর ও পানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করেও পৌর কোনো সুবিধা সেভাবে মিলছে না।

এ বিষয়ে শহরের ১০নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, “পানির অপর নাম জীবন। অথচ সেই পানিতেও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। প্রায় অর্ধ যুগ ধরে পৌরসভার সাপ্লাই পানির বেহাল দশা। দিনে দুই-একবার ভালো পানি আসলেও অধিকাংশ সময়ই ঘোলা, কালো ও তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের অযোগ্য। আমাদের এলাকার টিউবওয়েলের পানিতে প্রচুর আয়রন, তাই আমরা সাপ্লাই পানি ফুটিয়ে খাই। কিন্তু এই পানির যা অবস্থা তাতে আমরা ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি। এর আগে অনেকবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ মাস গেলে পানির বিল সময়মতোই পরিষদ করতে হয় আমাদের।”

শহরের ১১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাটুল বলেন, “দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ছাড়া অন্য সময় পানি ছাড়লেই বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। যেই পানি দিয়ে কোনো রকমে টয়লেটের কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজ করা যায় না। এই রমজান মাসেও দুর্গন্ধমুক্ত পানি পাচ্ছি না আমরা।”

শহরের ১২নং ওয়ার্ডের শেফা বলেন, “দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পানি ছাড়লেই ময়লা ও বিশ্রী দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসে। বিশেষ করে দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে পানি ছাড়লেই অনেক দূর থেকেও দুর্গন্ধ ভেসে এসে নাকে লাগে। আর শরীরের লাগলে তো কথাই নেই, শরীরও বিশ্রী দুর্গন্ধ হয়ে হয়ে যায়! এই পানি গায়ে লাগাতেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে। কি যে একটা অবস্থা বলার মতো না।”

এ বিষয়ে মুঠোফোনে পাবনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে কল দিয়ে জানতে চাইলে কলে কাউকে পাওয়া যায়নি।