বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পৌঁছেছেন। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, হজরত আলী খানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এটি তারেক রহমান ও তার পরিবারের জন্য একটি আনন্দের দিন, যেহেতু বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর তাঁর আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও সুস্থতার প্রার্থনা করে এবং মা ও ছেলের দীর্ঘ বছর পরে দেখা হওয়ার পর যে আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সোমালিয়ার দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বাংলাদেশি উপাচার্য) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার জন্য দোয়ার আর্জি করেন।
প্রফেসর ড. শেখ আসিফ এস. মিজানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“মহান আল্লাহর রহমত এবং মা-সন্তানের পবিত্র স্পর্শ”
হাজারো অনিশ্চয়তা কাটিয়ে, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে, মা ও সন্তানের এই মহামায়া ভরা পবিত্র স্পর্শ যে অভূতপূর্ব অনুভূতি সৃষ্টি করেছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। এই মুহূর্তটি যেন জীবনকে নতুন করে রাঙিয়ে দিয়েছে, যেখানে ভালোবাসা, আশা এবং আনন্দের স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে।
“মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা”
হে মহান প্রভু, আমাদের আপোষহীন নেত্রীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য তোমার কাছে মিনতি জানাচ্ছি। তাঁর সুস্থতা আমাদের দেশের জন্য এক নতুন সূর্যের আলো নিয়ে আসবে। তুমি তাঁর উপর দয়া করো এবং তাঁকে দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালনের তাওফিক দান করো।
আমিন। সুম্মা আমিন।
“আশা ও ভালোবাসার বার্তা”
এই পবিত্র মুহূর্তে, আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের নেত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এবং আবারও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন সবসময় তাঁর সঙ্গে থাকবে।
আসুন, আমরা সবাই একত্রে এই প্রার্থনা করি এবং আমাদের দেশকে আরো উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই।