ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় নবীনগরে রিপন মুন্সির হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঝুঁকির মুখে কালনী এক্সপ্রেস, চালকের দক্ষতায় রক্ষা নবীনগরে ফসলি জমির মাটি কাটায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশ্বাস ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন শ্রম অধিদপ্তরের নতুন ডিজি এ কে এম তারিকুল আলম ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)’র উদ্যোগে মরহুম প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খানের স্মরণে শোকসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত কোরবানির উপলক্ষে – বাবুগঞ্জে কামাররা ব্যস্ততা সময় পার করছে বারবার ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; ক্লিনিক বন্ধের দাবি সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক যাত্রী শিশুর মৃত্যু, চালকসহ আহত ৬ পাবিপ্রবি’র প্রথম জাতীয় কনফারেন্সের মাধ্যমে গবেষণার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে: ফারুক হোসেন চৌধুরী ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে বিএসএফের পুশইনকৃত ১২ বাংলাদেশী আটক

শ্রীমঙ্গলে যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসনের নীরবতা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের শহরশ্রী গ্রামে অবস্থিত বড়ছড়া থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু তুলছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে একটি চক্র। ট্রাক ও ট্যাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনের কারণে গ্রাম্য অভ্যন্তরীণ সড়ক ও চা বাগান সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দেখেও দেখছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রিজের আশপাশ থেকে যেভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, এর ফলে নদীর তলদেশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ওই গর্তে বন্যার পানি ঢুকে ঘূর্ণাবর্তর সৃষ্টি হলে বালু ও মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে ব্রিজ পাড়ের জনবসতি, ফসলি জমি ও শতশত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।

জানা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের মূল হোতা মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা থাকার পরও এলাকায় সে দাপটের সাথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হলে উচ্চ আদালত ওই ছড়া থেকে বালু উত্তোলনে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালুখেকো চক্রটি বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন-নিবেদন করার পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছড়ার বিভিন্ন অংশের বালু উত্তোলন করে বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছে। গ্রাম্য আভ্যন্তরীণ সড়কে বালু পরিবহনের জন্য ট্রাক ও ট্যাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াতের কারণে সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত সুইসগেটের পেছনের অংশ ছড়া ডেবে গেছে। এছাড়া দিনারপুর চা বাগানের একটি টিলার চা প্লান্টেশন এলাকা ছড়ায় নিমজ্জিত ও বাগানের সেতু ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ এই এলাকার সাতটি গ্রামের ২০-২৫ হাজার মানুষের শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির একমাত্র উৎস এই বড়ছড়া সুইসগেটটি নির্মাণ করে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে এলাকার সাতটি গ্রামের ২০-২৫ হাজার কৃষকদের চাষাবাদের জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুইসগেট, সরকারি সেতু, চা বাগানের প্লান্টেশন টিলার অংশবিশেষ। ইতোমধ্যে সুইসগেটটির পেছন দিকে প্রায় ২০ ফুট ছড়া নিচের দিকে ডেবে গেছে এবং দিনারপুর চা বাগানের একটি সেকশনের কিছু অংশ ছড়াগর্ভে নিমজ্জিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক মো. শফিক মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোকেরা আমাদের এই ছড়ার মধ্যে বালু তোলার ফলে সুইসগেটটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলাকার ঘর-বাড়ি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের এলাকা বাঁচান।’

কৃষক ইসহাক মিয়া বলেন, বড়ছড়া সুইসগেট আমাদের সাতটি গ্রামের প্রাণ। আজ এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আমাদের এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমি এই সুইসগেটের পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল ফলিয়ে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।

বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহাম্মদ মছদ্দর আলী বলেন, এলজিইডি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ২০১৯ সালে অফিস থেকে আমাদের জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে সুইসগেটটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। আপনারা এলাকাবাসী সোচ্চার হন। আমরা সোচ্চার হলেও বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাবের কারণে আমরা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। যুবলীগ নেতা জুয়েল, জাহাঙ্গির, শাহজাহান প্রমুখরা এখনো আমাদের হুমকি দেয়। তারা আমাদের সেক্রেটারিকে হুমকি দিয়ে বলে, হাইকোর্টে রিট করায় তার যদি বালু তোলা বন্ধ হয় তাহলে ১৬ লাখ টাকা তাকে দেওয়া লাগবে। আমরা এখনো আওয়ামী লীগের বালু দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছি।’

১ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, এই এলাকায় প্রচুর বালু উত্তোলন হবার ফলে এলাকার সুইসগেটসহ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া এলাকায় ২-৩ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী আছে। গ্রাম্য ছোট সড়কে বড় বড় ট্রাক ঢোকানোর ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটতে পারে।

দিনারপুর চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক বলেন, আমাদের বাগানের সাইড দিয়ে বালু দস্যুরা নিয়মিত বালু তোলে। আমদের বাগানের পক্ষ থেকে ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার চিঠি দেয়া হলেও কোন কিছুতেই কাজ হয় না।

বালু লিজের ব্যাপারে জুয়েল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি আওয়ামী যুবলীগ করার ফলে আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি কিভাবে বালু উত্তোলন করব? প্রশ্নেই আসে না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, বালুর লিজ খনিজ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়। আমার কাছে একটা আবেদন আসছে, রিটের একটা ইন্টেরিম অর্ডার (মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন আদালত কর্তৃক জারি করা আদেশ) এগ্রিমেন্ট কন্টিনিউ না করার কথা বলা হইছে। তারা রিটের কপিটা আমাকে দিয়েছে। আমি এসি ল্যান্ডকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়

Verified by MonsterInsights

শ্রীমঙ্গলে যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসনের নীরবতা

আপডেট সময় ১২:১৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের শহরশ্রী গ্রামে অবস্থিত বড়ছড়া থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু তুলছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে একটি চক্র। ট্রাক ও ট্যাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনের কারণে গ্রাম্য অভ্যন্তরীণ সড়ক ও চা বাগান সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় দেখেও দেখছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্রিজের আশপাশ থেকে যেভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, এর ফলে নদীর তলদেশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ওই গর্তে বন্যার পানি ঢুকে ঘূর্ণাবর্তর সৃষ্টি হলে বালু ও মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে ব্রিজ পাড়ের জনবসতি, ফসলি জমি ও শতশত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে।

জানা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের মূল হোতা মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইন এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা থাকার পরও এলাকায় সে দাপটের সাথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হলে উচ্চ আদালত ওই ছড়া থেকে বালু উত্তোলনে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালুখেকো চক্রটি বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন-নিবেদন করার পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছড়ার বিভিন্ন অংশের বালু উত্তোলন করে বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছে। গ্রাম্য আভ্যন্তরীণ সড়কে বালু পরিবহনের জন্য ট্রাক ও ট্যাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াতের কারণে সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত সুইসগেটের পেছনের অংশ ছড়া ডেবে গেছে। এছাড়া দিনারপুর চা বাগানের একটি টিলার চা প্লান্টেশন এলাকা ছড়ায় নিমজ্জিত ও বাগানের সেতু ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ এই এলাকার সাতটি গ্রামের ২০-২৫ হাজার মানুষের শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির একমাত্র উৎস এই বড়ছড়া সুইসগেটটি নির্মাণ করে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে এলাকার সাতটি গ্রামের ২০-২৫ হাজার কৃষকদের চাষাবাদের জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুইসগেট, সরকারি সেতু, চা বাগানের প্লান্টেশন টিলার অংশবিশেষ। ইতোমধ্যে সুইসগেটটির পেছন দিকে প্রায় ২০ ফুট ছড়া নিচের দিকে ডেবে গেছে এবং দিনারপুর চা বাগানের একটি সেকশনের কিছু অংশ ছড়াগর্ভে নিমজ্জিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক মো. শফিক মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোকেরা আমাদের এই ছড়ার মধ্যে বালু তোলার ফলে সুইসগেটটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এলাকার ঘর-বাড়ি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের এলাকা বাঁচান।’

কৃষক ইসহাক মিয়া বলেন, বড়ছড়া সুইসগেট আমাদের সাতটি গ্রামের প্রাণ। আজ এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আমাদের এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমি এই সুইসগেটের পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল ফলিয়ে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি।

বড়ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহাম্মদ মছদ্দর আলী বলেন, এলজিইডি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ২০১৯ সালে অফিস থেকে আমাদের জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে সুইসগেটটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। আপনারা এলাকাবাসী সোচ্চার হন। আমরা সোচ্চার হলেও বিগত দিনে আওয়ামী লীগের প্রভাবের কারণে আমরা বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। যুবলীগ নেতা জুয়েল, জাহাঙ্গির, শাহজাহান প্রমুখরা এখনো আমাদের হুমকি দেয়। তারা আমাদের সেক্রেটারিকে হুমকি দিয়ে বলে, হাইকোর্টে রিট করায় তার যদি বালু তোলা বন্ধ হয় তাহলে ১৬ লাখ টাকা তাকে দেওয়া লাগবে। আমরা এখনো আওয়ামী লীগের বালু দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছি।’

১ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার (সদস্য) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, এই এলাকায় প্রচুর বালু উত্তোলন হবার ফলে এলাকার সুইসগেটসহ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া এলাকায় ২-৩ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী আছে। গ্রাম্য ছোট সড়কে বড় বড় ট্রাক ঢোকানোর ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটতে পারে।

দিনারপুর চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক বলেন, আমাদের বাগানের সাইড দিয়ে বালু দস্যুরা নিয়মিত বালু তোলে। আমদের বাগানের পক্ষ থেকে ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার চিঠি দেয়া হলেও কোন কিছুতেই কাজ হয় না।

বালু লিজের ব্যাপারে জুয়েল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমি আওয়ামী যুবলীগ করার ফলে আমার নামে মামলা হয়েছে। আমি কিভাবে বালু উত্তোলন করব? প্রশ্নেই আসে না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, বালুর লিজ খনিজ মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়। আমার কাছে একটা আবেদন আসছে, রিটের একটা ইন্টেরিম অর্ডার (মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন আদালত কর্তৃক জারি করা আদেশ) এগ্রিমেন্ট কন্টিনিউ না করার কথা বলা হইছে। তারা রিটের কপিটা আমাকে দিয়েছে। আমি এসি ল্যান্ডকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।