যূক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খাল ব্যবহারের ফি কমানোর কিংবা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি করেছেন। তার অভিযোগ, মধ্য আমেরিকার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও অন্য নৌযান থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) অ্যারিজোনায় এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “পানামা যে ফি আদায় করছে, তা হাস্যকর, একেবারেই অন্যায্য। আমাদের দেশের সঙ্গে এই প্রতারণা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।”
এ সময় ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়েও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এক পোস্টে লিখেছিলেন, “পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ।” তার এই মন্তব্যের পর, পানামা সরকারের কাছ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া আসে। পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো দাবি করেন, “এই খাল এবং এর আশপাশের এলাকা তার দেশের অন্তর্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নয়। পানামার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা কোন বিতর্কের বিষয় নয়।”
ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটি নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি পানামা খালের ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত ফি কমানোর ব্যাপারে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি নৌপরিবহন ফি কমানো না হয়, তাহলে আমরা দ্রুতই সর্বাত্মক ও কোন প্রশ্ন ছাড়াই পানামা খাল ফের যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে আসব।”
৫১ মাইল বা ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এবং এটি বিশ্ব বাণিজ্যে মালামাল পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানামা খাল শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য না, বরং এর ভূরাজনৈতিক গুরুত্বও বিশাল। খালটি দুটো মহাসাগরকে যুক্ত করেছে, যার ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে পানামা খাল বিশাল ভূমিকা পালন করে।